একে উত্সবের মরসুমে ঘুমোনো খাওয়া দাওয়ার অনিয়মের শেষ নেই তার ওপর এই আবহাওয়া পরিবর্তন, এই অবস্থায় শরীরের দিকে বাড়তি নজর নেওয়ার প্রয়োজন। পর্যাপ্ত ঘুম থেকে শুরু করে সঠিক খ্যাদাভ্যাস না করলেই নানা রকমের শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তবে এখানেই শেষ নয় শরীরের পাশাপাশি আমাদের কগনেটিভ ও সাইকোলজিক্যাল হেলথ নিয়েও ভাবনাচিন্তার প্রয়োজন। মস্তিষ্কের ওপর যাতে অতিরিক্ত চাপ না পড়ে তার দিকে নজর দেওয়ার প্রয়োজন। তাই মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে এবং নিত্যদিনের স্ট্রেস ও টেনশন যাতে আপনার মস্তিষ্ককে ক্লান্ত না করে তোলে তার জন্য নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় এই খাবারগুলো অবশ্যই রাখুন।
ব্লুবেরি
ব্লুবেরিতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার রয়েছে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে দারুণ ভাল কাজ করে এই ব্লুবেরি। তবে শুধু শরীর ভাল রাখাই নয় মস্তিষ্ক ভাল রাখতে এই ব্লবেরি অত্যন্ত জরুরী। এতে গ্লুটেন থাকে না তাই ব্রেনের সিগন্যালিংয়ের ক্ষেত্রে এটি ভীষণ কার্যকরী।
কুমড়োর বীজ
কুমড়োর বীজে রান্নায় সেই কবে থেকেই ব্যবহার হয় তবে সুপারফুডের আখ্যা সদ্য জুটেছে। গবেষণায় উঠে এসেছে কুমড়ো বীজের একাধিক গুনের কথা। এত প্রচুর পরিমানে ফাইবার ও প্রোটিন রয়েছে। আর এই উপাদানগুলি আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ও স্মৃতি বাড়াতে দারুণ ভাল কাজ করে। স্ট্রেস কমাতে খুব ভাল কাজে এই কুমড়ো বীজ তাই কাজের ফাঁকে মন খাই খাই করলে স্ন্যাক্স হিসেবে সঙ্গে রাখতে পারেন কিংবা খেয়ে দেখতে পারেন এই বীজ।
ডার্ক চকোলেট
ডার্ক চকোলেট ত্বকের পক্ষে যে বেশ কার্যকরী তা এতদিনে অনেকেই জেনেছেন। আবার মনও ভাল করে। তবে শুধু মন ভাল করাই নয়। স্ট্রেস দূর করে অবসাদ কমিয়ে স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে তোলে এই ডার্ক চকোলেট। তবে পরিমান বুঝে খেতে হবে। অতিরিক্ত খাওয়া চলবে না।
কফি
এতদিন ঘুম ভাঙাতে, শরীর ও মন চাগিয়ে তুলতে কফির কাপে অনেক চুমুক দিয়েছেন। তবে এই ক্যাফেন যে আপনার স্মৃতি শক্তিও বাড়িয়ে তুলতে পারে তা জানতেন কি? পরিমিত মাত্রায় ক্যাফেন খেলে তা শরীরের পক্ষে উপকারী এবং একইভাব মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতেও ক্যাফেনের জবাব নেই।
কাঠবাদাম
মস্তিষ্ক ভাল রাখতে, মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কাঠ বাদামের জুড়ি মেলা ভার। নিয়মিত কাঠবাদাম খেলে স্মৃতিশক্তি ও কগনেটিভ হেলথের জন্য ভীষণ উপকারী। এর পাশাপাশি এটা শরীরে কোনওরকমের ইনফ্লেমেশনও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
এই প্রত্যেকটি খাদ্যদ্রব্যই সহজলভ্য তাই আর অপেক্ষা না করে মস্তিষ্ক ভাল রাখতে আজ থেকেই খাওয়া শুরু করুন। তবে কোনওটাই যেন অতিরিক্ত না হয় বরং অল্প মাত্রায় নিয়মিত খাওয়াটাই প্রয়োজনীয়।