পুষ্টির রকমারি খনিজ পদার্থে পরিপূর্ণ তরিতরকারি ভাল স্বাস্থ্যের জন্য কতটা আবশ্যক তা বলা বাহুল্য। তবে রূপচর্চার ক্ষেত্রে যে তরিতরকারি অত্যন্ত কার্যকর তা হয়তো অনেকেই জানেন না। যাঁরা জানেন না তাঁদের জন্য রইল আমাদের রান্নাঘরে নিত্যদিনের ব্যবহারের তরিতরকারির তালিকা। আর যাঁরা এই উপকারিতার কথা ইতিমধ্যেই জানেন, তাঁদের রূপচর্চার পছন্দের খাদ্যদ্রব্যের তালিকার সঙ্গে আমাদের এই তালিকা মেলে কি না, দেখ নিন।
১. শুধু আলু-কুমড়োর ছেঁচকি বা পাম্পকিন মাফিনই নয়, ত্বকের কোষকে উজ্জীবিত করতে কুমড়োর জবাব নেই। কুমড়োতে প্রচুর পরিমাণে জিংক ও ভিটামিন ই রয়েছে। এই দুটি উপাদান ত্বক মসৃণ করতে, ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। ময়াশ্চারাইজার, ফেশ স্ক্রাব ও লিপ বাম হিসেবে কুমড়ো ব্যবহার করা যেতে পারে।
২. রূপচর্চায় শশা ব্যবহার অনেকেই জানেন। বিশেষ করে ক্লান্ত চোখের যত্ন নিতে শশা বেশ কার্যকর। তবে এ তো কিছুই নয়। শশাতে অ্যাস্করবিক ও ক্যাফেয়িক অ্যাসিড রয়েছে। এই উপাদানগুলি ত্বকের কোলাজেন টানটান রাখতে কার্যকর।
৩. পালং শাকে রয়েছে বিটা -ক্যারোটিন ও লুটেইন। এগুলি ত্বকের নমনীয়তা বজায় রাখতে খুবই কার্যকরী। এ ছাড়াও ত্বকের জ্বালা ভাব, বলিরেখা দূর করতে খুবই কাজের পালং শাক।
৪. অ্যাভোকাডো যদিও ফল তবে বেশ কিছু মেডিটেরিয়ান ডিশ তৈরিতে এর ব্যবহার করা হয়। তাই এই তালিকায় রাখা হয়েছে অ্যাভোকাডোকেও। ভিটামিন এ, সি ও ই রয়েছে এতে। এর ফলে ত্বকের পরিচর্যায় এই ফল যথেষ্ট উপকারী। মুখের দাগ ছোপ মুছে ব্রণ বা অ্যাকনে সারিয়ে তোলার কাজে এটি বেশ কার্যকরী।
৫. মুখের কালো দাগ ছোপ দূর করতে বেশ কাজে দেয় আলু। ক্লেনজার হিসেবে ব্যবহার করা ক্লেনজার হিসেবে আলুর রস ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়াও বলিরেখা, ফোলা চোখ ও ডার্ক সার্কেল কম করতে আলুর রস ব্যবহার করতে পারেন।
৬. গাজর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিনে পরিপূর্ণ। গাজরের রস ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করে।
তবে শুধু যে রূপচর্চায় ব্যবহার করলেই হবে তা না। সুস্বাস্থ্য ও সুন্দর ত্বকের জন্য প্রয়োজন নিয়মিত ভাবে খাদ্যতালিকায় এই শাক সবজি রাখা।