শীত বিদায় নিলেও তার ছাপ ছেড়ে গেছে আপনার মাথার ত্বক ও চুলে। মাথার ত্বক প্রচন্ড শুষ্ক হয়ে হয় চামড়া ওঠা আর না হলে ত্বকে ধুলো, ময়লা ও অতিরিক্ত তেল জমে ব্যক্টেরিয়ার সংক্রমণ সেখান থেকে খুশকি ও ফুঁসকুড়ির বাড় বাড়ন্ত। আরখুশকি মানেই চুল ঝরে পড়ার পাশাপাশি ত্বকে ব্রণ বা ফুঁসকুড়ির সমস্যা। তবে এই সমস্যার হাতে থেকে মুক্তি দিতে পারে আপনার রান্নাঘরের নিত্যদিনের এই উপকরণ, পাতিলেবু। কীভাবে করবেন পাতিলেবু দিয়ে চুলের পরিচর্যা?রইল হেয়ার মাস্ক তৈরির একাধিক রেসিপি।
পাতিলেবু ও আমলকি
খুশকির সমস্যায় দারুণ কার্যকরী পাতিলেবু ও আমলকি। তাই এই দুই উপকরণ দিয়ে এভাবে বানিয়ে ফেলুন পাতিলেবু ও আমলকির হেয়ার মাস্ক।
একটি পাত্রে ২ টেবিলচামচ লেবুর রস ও ২ টেবিলচামচ আমলকির রস ভাল করে মিশিয়ে নিন।
এবার একটি তুলো টুকরো দিয়ে মিশ্রণটি গোটা মাথায় মিশ্রণটি ভাল করে লাগিয়ে নিন। মিশ্রণটি ২০ মিনিট মাথায় রেখে জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন।
এই দু’টোতেই সিট্রাস থাকায় এটি স্ক্যাল্পে মৃত কোষ পরিষ্কার করে এবং উত্পাদন কমিয়ে আনে। পাশাপাশি চুলের গোড়ায় প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান দেয়।
পাতিলেবু ও মধু
চুলে ভাল রাখতে দুর্দান্ত পাতিলেবু ও মধুর তৈরি প্যাক।
একটি পাত্রে এক টেবিলচামচ লেবুর রস ও ৩ টেবিলচামচ মধু মিশিয়ে নিন। এবার মাথায় এই মিশ্রণ লাগিয়ে ২০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। কুড়ি মিনিট পর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন।
মধুর অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি কার্যকারিতা রয়েছে। এটা ব্যাক্টেরিয়া বা ফাঙ্গাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। পাশাপাশি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। এতে চুল থাকে ভাল।
পাতিলেবু ও ইয়গহার্ট
পাতিলেবু ও ইয়গহার্ট খুশকির সমস্যা দূরে রাখে।
একটি পাত্রে ২টেবিলচামট ইয়গহার্ট ও ১ টেবিলচামচ লেবুর রস নিয়ে নিন। এই দুই উপাদান ভালভাবে মিশিয়ে মাথায় লাগিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মাথায় অন্তত ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ও চুল ধুয়ে নিন। ইয়গহার্টে যে ন্যাচারাল এনজাইম ও অ্যাসিড রয়েছে সেগুলি খুশকিকে দূরে রাখতে ভীষণ কার্যকরী।
(ছবি সৌ: Unsplash)