দুধ আর মধু, বাঙালির রান্নাঘরের অত্যন্ত সাধারণ এই দুটি উপকরণ আমাদের এতটাই গা সওয়া হয়ে গেছে যে এদের গুন নিয়ে তেমন মাথা ঘামায়নি। তবে যে দিন এই দুটো উপকরণের মধ্যে একটি থাকে না সেদিন বোঝা যায় এদের মর্ম। তা গরম জলে মধু খাওয়া, কিংবা ক্লেনজার হিসেবে দুধের ব্যবহার।ত্বকের যত্ন নিতে এই দুটি উপকরণের কোনও বিকল্প হয় না। ক্লেনজার, এক্সফোলিয়েশন, ময়শ্চারাজার, ফেস প্যাক ত্বকের সমস্ত রকম পরিচর্য়ায় এই দুটি উপকরণ এক কথায় অপরিহার্য।দুধে রয়েছে ল্যাক্টিক অ্যাসিড। এই ল্যাক্টিক অ্যাসিডে আল্ফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড রয়েছে এটা ময়শ্চারাইজার হিসবে ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী। অন্যদিকে মধু ত্বকের রোমছিদ্রের মুখগুলি খুলে দেয় এবং জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে।তাই ত্বকের পরিচর্যায় নিত্যদিনের ব্যবহারে এই দুধ আর মধু না রাখলেই নয়।
তা কখন, কীভাবে ব্যবহার করবেন জেনে নিন-
হানি অ্যান্ড মিল্ক ফেস ওয়াশ
সকালে মুখ পরিষ্কার করতে মধু ও দুধ মিশিয়ে লাগাতে পারেন। দুধ ও মধু ১:২ অনুপাতে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণ টা ক্রিমের মত ঘণ হয়ে গেলে মুখে লাগিয়ে নিন। মুখে ৫ থেকে ১০ মিনিট পর্যন্ত লাগিয়ে রাখুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। এরপর মুখে টোনার ও ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। আপনার ত্বক একেবারে ঝলমলে হয়ে উঠবে।
ত্বকের জেল্লা বাড়াতে এক্সফোলিয়েটার হিসেবে
ত্বকে মৃত কোষ ও দূষণের কারনে, ধুলো বালি জমে, রোদে পুড়ে জেল্লা হারায় আমাদের ত্বক। দুধে কোলাজেন নামক প্রোটিন রয়েছে যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূ্র্ণ। দুধ ও মধু দুটোতেই অ্যান্টি এজিং কার্যকারিতা রয়েছে এবং ত্বকের জৌলুস বাড়াতে এই দুটি-ই ভীষণ কার্যকরী। তাই ত্বকের মৃত কোষ পরিষ্কার করতে দুধ ও মধু একটি পাত্রে নিয়ে মাইক্রোওয়েভে গরম করে নিন। গরম করে একটা মোটা ঘন মিশ্রণ তৈরি হবে। এবার এই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে নিন। মুখে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্ক ত্বকের বিভিন্ন ধুলো ময়লা, মৃত কোষ পরিষ্কার করে দেবে সহজেই। এবং ত্বকের আর্দ্রতা বাড়িয়ে তুলবে।
মধু ও দুধ দিয়ে ফেস স্ক্রাব
এক্সফোলিয়েট করা, ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ানো, ময়শ্চারাইজর করা মধু ও দুধ যেমন খুব ভাল কাজ করে। ঠিক তেমনি ওটস বা আমন্ড বাদামের সঙ্গে দুধ বা মধু মিশিয়ে খুব ভাল ফেস স্ক্রাব ব্যবহার করা যায়। আর এই স্ক্রাব মুখে ও গায়ে ব্যবহার করতে পারেন। মধু, দুধ, আমন্ড বা ওটস দিয়ে ভাল করে একটা মিশ্রণ বানিয়ে নিন। মিশ্রণটা ঘণ হয়ে গেলে মুখে ও গায়ে লাগিয়ে ফেলুন। এবং ভাল করে মালিশ করে নিন। মালিশ শেষ ইষদুষ্ণ জলে মুখ ও গা ধুয়ে ফেলুন।
ত্বকের লাবণ্য হবে চোখে পড়ার মত।