চুলপড়ার সমস্যা আজকাল ঘরে ঘরে। আবহাওয়ার তারতম্য হোক কিংবা পরিবেশ দূষণ কিংবা অনিয়মিত জীবনযাপন, চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভাল। আর আগের মতো এই সমস্যা যে শুধু বয়স্কদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তা নয়। অল্প বয়সীরাও চুল পড়ার সমস্যা নিয়ে জেরবার। এই অবস্থায় চুল কীভাবে চুলের পরিচর্যা করলে উপকার হবে তা নিয়ে অনেকেই সোশাল মিডিয়ার নানা রকমের বিউটি হ্যাকস কাজে লাগান। এর ফলে আবার অনেক সময় উপকারের তুলনায় অপকার হয় অনেক বেশি। এই নিয়ে সতর্ক করতে গিয়ে বেশ কিছু কাজ করতে মানা করছেন ডার্মেটোলজিস্ট ডাঃ আঞ্চল পন্থ। এই নিয়ে তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন তিনি।
ব্লিচ করবেন না
চুল পড়ার সমস্যা থাকলে চুলের থেকে দু’শেড হালকা কালার করাবেন না। চুলে আলাদা আলাদা কালার করার জন্য প্রথমে চুল ব্লিচ করা হয়। যত লাইট শেড লাগাবেন তত বেশি হাইড্রোজেন পেরোক্সাইড চুলে ব্যবহার হবে। এর ফলে চুল নিজের আর্দ্রতা দ্রুত হারাবে এবং এর ফলে শুষ্ক , ফ্রিজি হয়ে আরও বেশি ঝরে পড়বে।
যদি একান্তই কালার করাতে হয় তা হলে শুধু রুট টাচ আপ করুন। গ্লোবাল কালার চুলে করলে অযথা চুলের সমস্যা বাড়ানো হবে।
খুব বেশি হেয়ার ট্রিটমেন্ট করাবেন না
চুল আগে থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত থাকলে চুলে হেয়ার ট্রিটমেন্ট যেমন রিবন্ডিং, হেয়ার স্মুদেনিং করাবেন না।
সপ্তাহে এক থেকে দু’বারের বেশি মাস্ক ব্যবহার করবেন না
চুল ক্ষতিগ্রস্ত হলে স্বাস্থ্য ফেরাতে অনেকে হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করেন। এতে চুল পর্যাপ্ত পুষ্টি ও আর্দ্রতা পায়। কিন্তু চুলের জন্য উপকারী বলেই যে এই হেয়ার মাস্ক ঘণ ঘণ চুল লাগাবেন তা কিন্তু করবেন না। তেমনটা করলে উপকারের থেকে অপকার হবে বেশি। এতে চুল বেশি ঝরে পড়বে। চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সপ্তাহে এক খুব বেশি হলে দুবার এই হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন। এক্ষেত্রে চুলে মরোক্কান অয়েল, আর্গান অয়েল কিংবা অ্যালোভেরা মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।
(ছবি সৌ :Unsplash)