ত্বকের প্রতি আপনি ঠিক কতটা যত্নবান? করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেই বর্ষার হানা, মাস্ক, ঘাম, ধুলোবালি, নোংরা জল সব মিলিয়ে মুখের ত্বকের অবস্থা কহতব্য নয়। এই সময়ে একটু বাড়তি যত্নের প্রয়োজন। সালোঁ বা পার্লার মানে খরচের পাশাপাশি সংক্রমণের ভয়। তা এত কিছু না-ভেবে বরং আধঘণ্টা সময় বার করুন নিজের জন্য। ত্বকের সঠিক পরিচর্যায় ব্যবহার করুন বাবল ফেস মাস্ক। সামাজিক মাধ্যমে নিত্য আনাগোনা থাকলে ইতিমধ্যেই বাবল ফেস মাস্কের নাম শুনেছেন নিশ্চই। যদি না হয়. তা হলে জেনে নিন ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে বাবল ফেস মাস্কের মহিমা।
বাবল ফেস মাস্ক ঠিক কী?
ইদানীং ত্বকের হারানো জৌলুস ফিরিয়ে আনতে পরিচর্যায় কোরিয়ান আদবকায়দা বেছে নিচ্ছেন অনেকে। ফলও পাচ্ছেন মন মতো। এই বাবল মাস্কও কোরিয়ান বিউটি ওয়ার্ল্ডের আর এক সৃষ্টি। যেমন নাম, তেমন কাজ। মুখে লাগালে হাজারো বুদবুদ বেরোচ্ছে এই বাবল মাস্ক থেকে। এই ক্লে মাস্কে অক্সিজেন থাকে যার রক্ত সঞ্চালন ও কোলাজেন তৈরির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এই দুটোই ত্বকের তারুণ্যে ধর রাখতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এবং এই মাস্কের ব্যবহারে ত্বকের হারানো আর্দ্রতা ফিরে আসে। দূষণ ও স্ট্রেসের কারণে চামরা কোঁচকানো ভাব কমিয়ে ত্বককে সুন্দর ও সতেজ করে তোলে।
স্ক্রাবের বদলে বাবল ফেস মাস্ক
ত্বকের মৃত কোষ সরাতে (Exfoliate) আমরা সাধারণত স্ক্রাব ব্যবহার করি। তবে ত্বকে গোটা বা ব্রণ থাকলে তখন সমস্যার সৃষ্টি হয়। অনক ক্ষেত্রেই ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট হয়। বাবল মাস্ক ব্যবহার করলে এই সব সমস্যা থাকে না। বরং বাবল মাস্কে থাকা পুষ্টিকর ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানগুলি ত্বককে নরম ও সতেজ করে তোলে।
এই বাবল মাস্কগুলি এমন ভাবে তৈরি করা হয় যে মুখের মেক আপ পরিষ্কার, অতিরিক্ত সেবাম সিক্রিয়েশন, ব্ল্যাকহেডস সরাতে এগুলি খুবই কার্যকর। পাশাপাশি ত্বকে আর্দ্রতা আনে এবং ব্রণর দাগ ছোপ কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।
বাবল মাস্কের বাড়তি সুবিধে হল এগুলো সব ধরনের ত্বকেই ব্যবহার করা যায়। মুখে মাস্ক রাখতে হবে মাত্র ২০ মিনিট ব্যবহার করতে হবে সপ্তাহে দুবার। ব্যস তা হলেই দেখেবেন কেমন ঝলমলে হয়ে উঠবে আপনার ত্বক।
আরও পড়ুন: বাড়িতেই সেজে উঠুন কোরিয়ান মেঘের মায়ায়