পুজোতে অফ শোল্ডার ড্রেস না লো ওয়েস্ট শাড়ি? পুজোর আনন্দে গত বছরই থাবা বসিয়েছিল করোনা। এ বছরও যে বিশেষ কিছু আলাদা হবে তা হয়তো নয়, তবে এখন করোনাকে সঙ্গে নিয়েই পথ চলতে শিখেছি আমরা। তাই আর যাই হোক, পুজোর কটা দিন মাস্ক পরেই, সেজেগুজে পছন্দের পোশাক পরতে পিছপা হবেন না কেউই। কিন্তু এই অফ শোল্ডার ড্রেস দিয়ে বা লো ওয়েস্ট শাড়ি দিয়ে যদি স্ট্রেচ মার্ক উঁকি মারে? খুব একটা ভাল কিন্তু লাগবে না। এ দিকে, ব্রণ বা অ্যাকনে, তাও যত্ন করলে সারে কিন্তু স্ট্রেচ মার্ক? না একেবারে সরানো যাবে না ঠিক,ই কিন্তু যত্ন নিলে স্ট্রেচ মার্কসের কারণে ত্বক রুক্ষ বা জৌলুসহীন দেখাবে না। হাতে এখনও ২মাস সময় আছে৷ তাই এই পাঁচটি উপকরণ দিয়ে ঘর বসেই সহজে স্ট্রেচ মার্ক সারিয়ে তুলুন।
১. ভিটামিন এ (Vitamin A)
ভিটামিন এ কে রেটিনোয়েডও বলা হয়। রেটিনয়েড আমাদের ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ও তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন এ যুক্ত ক্রিম লাগালে বা ভিটামিন এ রয়েছে এমন খাবার খেলে উপকার পাওয়া যাবে। যেমন গাজর, রাঙা আলু, পালং শাকের মতো খাদ্যদ্রব্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। এ-রকম আরও অনেক শাক-সবজি আমাদের নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় রাখলে ভাল ফল হবে।
২. চিনি
স্ট্রেচমার্কসে মাইক্রোডার্মাব্রেশন পদ্ধতি অবসম্বন করে চিকিৎসকরা। চিনিকে অনেকে প্রাকৃতিক উপায়ে এই মাইক্রোডার্মাব্রেশনের সঠিক উপকরণ বলে মনে করেন অনেকে।
প্রথমে এক কাপ চিনির সঙ্গে ১/৪ কাপ আমন্ড তেল বা নারকেল তেল মিশিয়ে নিন।এ বার এতে পাতিলেবুর রস মেশান।শরীরের যে সব জায়গায় স্ট্রেচ মার্ক আছে সেই সব জায়গায় লাগিয়ে নিন। স্নানের সময় এই মিশ্রণটি অন্তত ৮ থেকে ১০ মিনিট মালিশ করতে হবে। সপ্তাহে বেশ কয়েকবার থেরাপি করলে ভাল ফল পাবেন।
৩. অ্যালোভেরা
ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধন করতে পারে অ্যালোভেরা। ত্বকের হারানো ঔজ্জ্বল্য ও নরম করতে অ্যালোভেরার বিকল্প নেই। তাই স্ট্রেচ মার্কসের ক্ষেত্রে এই অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করে আরাম পাবেন। স্নানের পর ভাল করে ত্বকে বা স্ট্রেচ মার্ক রয়েছে সেই সব জায়গায় অ্যালোভেরা লাগালে ভাল ফল পাবেন।
৪. হায়লিউরোনিক অ্যাসিড
ত্বকে কোলাজেন বলে বিশেষ প্রোটিন থাকে যা ত্বকের লাবণ্য ও তারুণ্য ধরে রাখে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই কোলাজেন মাত্রা আমাদের মুখে ও শরীরে কমতে শুরু করে। এই অ্যাসিড কোলাজেনকে উদ্দীপ্ত করে। তাই যেই অংশে স্ট্রেচ মার্কসের সমস্যা রয়েছে, সেখানে এই অ্যাসিড যুক্ত ক্রিম বা অয়েন্টমেন্ট মালিশ করলে ভাল ফল পাবেন।
৫. নারকেল তেল
জৌলুসহীন ত্বকের থেকেও বাজে দেখায় স্ট্রেচ মার্ক। তাই এই স্ট্রেচমার্কসে খাঁটি নারকেল তেল লাগালে এখানকার ত্বক দেখতে অনেকটা মসৃণ লাগে। স্ট্রেচ মার্কের কারণে যে লালচে ভাব হয়ে যায় সেটা অনেকটা কমে যায়। ন্যাচারাল ময়শ্চারাইজার হিসেবে নারকেল তেলের জুড়ি মেলা ভার।
সাধারণত ওজন বাড়লে, প্রেগন্যান্সি বা বয়ঃসন্ধির সময় এই স্ট্রেচ মার্ক সৃষ্টি হয়। তবে ঘরোয়া এই উপকরণগুলির ব্যবহারে নারী ও পুরুষ উভয়েরই উপকার হবে।