ঋতুস্রাবের সময় শরীরের নানা রকমের যে সব সমস্যা দেখা দেয় তা প্রত্যেক মহিলার ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা। তবে কম বেশি পিরিয়ড পেন-এ কাবু হন সকলেই। সঙ্গে মেজাজ খিট খিটে হয়ে যাওয়া কিংবা অকারণে মন খুব খারাপ হয়ে যাওয়ার মতো একাধিক সমস্যা। এর প্রভাব পড়ে দৈনন্দিন জীবনেও। তাই পিরিয়ডসের সময় প্রচণ্ড যন্ত্রণা সহ একাধিক শারীরিক সমস্যায় যাতে আপনার নিত্যদিনের জীবনযাপনে ব্যঘাত না ঘটে তার জন্য ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার কয়েকদিন আগে থেকেই নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় এই খাবারগুলো রাখুন, আরাম পাবেন।
পিরিয়ডের আগে সবুজ শাক সবজি খান। বিশেষ করে পালং শাকের সুপ কিংবা তরকারী খেতে পারেন। পালং শাকে প্রচুর মাত্রায় আয়রন আছে। এর ফলে পিরিয়ডের আগে পালং শাক খেলে প্রি মেনসট্রুয়াল সিন্ড্রোমের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং এড়িয়ে যাওয়া যায়।
কিসমিসের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ওআয়রল থাকে। তাই পিরিয়ডসের আগে থেকে কিসমিস খেলে পিরিয়ডসের সময় শরীর ভাল থাকে।
পিরিয়ডের আগে প্রত্যেকদিন একমুঠো বাদাম ও পেস্তা এবং সূর্যমুখির বীজ খেলে উপকার পাবেন। বাদামে ও বীজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি, বি-৬ ও রাইবোফ্লেভিন থাকে যা পিরিয়ডসের সময় শরীরের জন্য ভীষণ প্রোয়োজনীয়।
ডার্ক চকোলেট খেলে পিরিয়ড ক্র্যাম্প থেকে রেহাই মেলে। ডার্ক চকোলেটে প্রচুর মাত্রায় জিঙ্ক ও ফোলেট থাকায় পিএমএস ও পিরিয়ডসের সময় এটা শরীর সুস্থ রাখে।
পিরিয়ড শুরু হওয়ার আগে নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় এমন সব খাবার রাখুন যাতে প্রচুর মাত্রায় ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যসিড রয়েছে। তাই পিরিয়ডের আগে ও পিরিয়ডের সময় ওমেগা থ্রি যু্ক্ত খাবার খেলে ব্লোটিং, মাথা যন্ত্রণা এবং ব্রেস্টের ব্যথার থেকে রেহাই মেলে ও শরীর আরাম পায়।
পিরিয়ড শুরু হওয়ার আগে নানা রকমের সবজি, ফল খান। এগুলোতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকে। ফাইবার যুক্ত খাবার খেলে পেট পরিষ্কার থাকে। এর ফলে পিএমএসের একাধিক পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
(ছবি সৌ :Unsplash)