প্রচন্ড খিদেতে যখন প্রাণ যায় যায় অবস্থা তখন ধরে প্রাণ ফেরাতে একটা স্যান্ডউইচই যথেষ্ট। তা দিনের যেকোনও সময়ই হোক না কেন, স্যান্ডউইচে অরুচি সচরাচর আসে না। উপকরণের বাড়বাড়ন্ত নাই বা থাকুক পাউরুটি থাকলেই হবে। গরম, মুচমুচে টেস্টি স্যান্ডউইচের জবাব নেই। খাটনিও তেমন নেই, আরও ভাল হয় যদি স্যান্ডউইচ বানাননোর সময় মেনে চলেন এই নিয়মগুলো। এগুলো পারফেক্ট স্যান্ডউইচ বানানোর চাবিকাঠি।
১. স্যান্ডউইচ কত ভালো হবে তা নির্ভর করছে পাউরুটির ওপর। নরম বা খাস্তা আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাউরুটি বাছতেই পারেন। তবে সেক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে আপনি কোন ধরনের স্যান্ডউইচ বানাছেন। আপনার ফিলিং যদি ভেজা ভাব থাকে তাহলে শুকনো এবং ভারি ব্রেড বেছে নেওয়াই ভাল। এতে আপনার ফিলিং জায়গা মতো থাকবে।
২. টোস্টে করে নিলে স্যান্ডউইচের স্বাদ বাড়বে। সেক্ষেত্রে কোল্ড স্যান্ডউইচের বদলে গ্রিলড স্যান্ডউইচ খেতে পারেন। পাউরুটির যে মিষ্টি স্বাদটা পাবেন।
৩. স্যান্ডউইচে ফিলিং দেওয়ার আগে পাউরুটিতে আপনার পছন্দের স্প্রেড লাগিয়ে নিন। এত একটা নরম ক্রিমি ভাব আসবে, খেতে ভাল লাগবে। আপনি মেয়োনিজ ব্যবহার করতে পারেন পা হানি মাস্টার্ড সস ব্যবহার করতে পারেন।
৪. স্যান্ডউইচ যাতে নরম বা ভারি হয়ে ভেঙে না যায় তাই ভাল করে পাউরুটিতে সস লাগিয়ে নিন। শশা বা টমেটো একসঙ্গে ব্যবহার করবেন না। খেতে ইচ্ছে হলে একেবারে পরিবেশনের সময় যোগ করুন। ফিলিং যদি ভেজা ও নরম থাকে তাহলে চিজ বা মাংস দিয়ে পাউরুটি ও ফিলিংয়ের মধ্যে একটা স্তর তৈরি করুন। চাইলে পাউরুটিতে মাখন লাগিয়ে নিতে পারেন এতে স্যান্ডউইচ অতিরিক্ত নরম হয়ে যাবে না।
৫. শশা বা টোমেটোর বদলে ক্যাপসিকাম সেঁকে, পেঁয়াজ বা গাজর হাল্কা ভেজে স্যান্ডউইচে ব্যবহার করতে পারেন। শীতকালে তাজা পালং শাক বা বাঁধাকপি হাল্কা সিদ্ধ করে লেটিউসের বদলে ব্যবহার করতে পারেন।
৬. দুটো উপকরণ হলেই সু্স্বাদু স্যান্ডউইচ বানানো যায়। তবে লাঞ্চে একটু হেবি স্যান্ডউইচ তৈরি করতেই পারেন। তবে একগাদা উপকরণ বা দুতিন রকমের সস ব্যবহার না করাই ভাল। আর সব শেষে স্যান্ডউইচে হার্বস বা সিজনিং ওপর থেকে ছড়িয়ে দিতে ভুলবেন না। স্বাদ বাড়বে। উপকরণ ও সসের মধ্যে একটা সামঞ্জস্য বজায় রাখার চেষ্টা করবেন। ফিলিং যদি হেভি হয় তাহলে মাইল্ড সস ব্যবহার করুণ। খেয়ে আরাম পাবেন।