চুল পড়া কিংবা চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে হরমোন লেভেলের তারতম্য থেকে শুরু করে আবহাওয়া, পেটের সমস্যা, পরিবেশ দূষণ কিংবা জিনগত কারণ। তবে চুল পড়া কিংবা চুল পাতলা হয়ে যাওয়া মানেই এই নয় যে চুলের স্বাস্থ্য আবার ভাল হবে না। দূষণ ও সাময়িক শারীরিক সমস্যার ক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান হয়ে গেলে চুল পড়া কিংবা চুল পাতলা হওয়ার সমস্যাও কমে যায়। তবে এটা ঠিক, তার জন্য চুলের যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন আছে। তাই চুলের স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার কারণ খুঁজতে চিকিত্সকের পরামর্শ মেনে কাজ করাই ভাল। পাশাপাশি আর যে কাজটা করতে পারেন সেটা হল ঘরোয়া উপায়ে চুলের পরিচর্যা।
ডার্মেটোলজিস্ট ডা সু তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এই নিয়ে একটি পোস্ট করেছেন এবং চুলের স্বাস্থ্য কী ভাবে ভাল করতে হয় সেই নিয়েও বেশ কিছু তথ্য শেয়ার করেছেন তিনি।
View this post on Instagram
পর্যাপ্ত ঘুম
ঘুম ভাল হলে গ্রোথ হরমোন নিঃসরণ হয় যা চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চুল পড়া এবং নতুন চুল গজানো একটা স্বাভাববিক প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ার একটি স্বাভাবিক গত বা নিয়ম আছে। ভাল ঘুম হলে এই চুল পড়ে যাওয়া এবং নতুন চুল গজানোর মধ্যে একটা সামঞ্জস্য তৈরি করে।
নিজেকে স্ট্রেসমুক্ত রাখুন
নিয়মিত শারীরিক কসরত কিংবা যোগাসন বা আপনার পছন্দের যে কোনও কাজ যা আপনাকে স্ট্রেস মুক্ত রাখে সেটা করতে পারেন। স্ট্রেসমুক্ত হলে চুলের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
মাল্টি ভিটামিন খাওয়া
চুল যাতে ঘন ও মজবুত হয় তার জন্য প্রয়োজন আয়রন, লোহা ও জিঙ্কের মত পুষ্টিকর উপাদান। তাই আপনার শরীরে এই উপাদানগুলির ঘাটতি আছে কিনা তা চিকিত্সকের সঙ্গে আলোচনা করে জেনে নিন এবং এর জন্য আপনি মাল্টি ভিটামিন খেতে পারেন কিনা তাও জেনে নিন।
ফোলিক অ্যাসিডের (folic acid) – এটি এক ধরনের ভিটামিন বি যাতে কোষের পুনর্জন্ম ঘটে।
বায়োটিন (biotin)- বায়োটিন বা ভিটামিন- সেভেন বাদাম বা ডালের মত খাদ্য দ্রব্যে পাওয়া যায়। তাই শরীরের যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জরুরী পুষ্টি পৌঁছায় তাই সুষম আহার খান।
মনোক্সিডেল (minoxidil)- এটি এক ধরনের হেয়ার লস ট্রিটমেন্ট। এই ট্রিটমেন্টে বিশেষ ধরনের রাসায়নিক সিরাম বা ফোম হিসেবে মাথায় লাগানো হয়। এটি দিনে দু’বার ব্যবহার করা হয় এবং নিয়মিত লাগালে এর ফলে আপনি হাতে নাতে পাবেন। তবে শুধু মাত্র চুল পড়ে মাথার যে অংশে টাক হয়ে যাওয়ার উপক্রম শুধুমাত্র সেই জায়গাগুলোতে ব্যবহার করুন।।
নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমানে জল খান
দিনে অন্তত ৩ থেকে ৪ লিটার জল খান। এর ফলে মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকলে চুলের গোড়া ভাল থাকেব। চুলের জৌলুস বাড়বে। স্বাস্থ্য ভাল হবে।