গরমকালে ঘামের সঙ্গে মেকআপের উঠে আসা কিংবা ভরা বর্ষায় একেবারে কাকভেজা অবস্থায় মেকআপের ‘ঘেঁটে ঘ’ হয়ে যাওয়া। যারা মেকআপ করতে ভালবাসেন বা কাজের সুত্রে নিয়মিত মেকআপ বা ভারি মেকআপ করতে হয় যাদের তাদের কাছে এই গরমকাল আর বর্ষাকাল খুবই সমস্যার। তবে উপায় একটা আছে তা হল ওয়াটাপ প্রুফ মেকআপ। যদি অনেকে বলে থাকেন এই ওয়াটার প্রুফ মেকআপ করেও শেষ রক্ষা হয় না। সেক্ষেত্রে সম্ভবত মেকআপের সময় ছোট খাটো কিছু ভুল থেকে যেতে পারে এমনই মত বিউটি এক্সপার্টদের। তাই সঠিক পদ্ধতি মেনে কীভাবে ওয়াটার প্রুফ মেকআপ করতে হবে জেনে নিন-
মেকআপ করার আগে অবশ্যই ফেস ওয়াইপ দিয়ে মুখ, গলা ও হাত ভাল করে পরিষ্কার করে নিন।
জল দিয়ে ভাল করে মুখ ধুয়ে নিন যাতে ফেস ওয়াইপের যে কেমিক্যাল রয়েছে তা যেন সম্পূর্ণ ভাবে বেরিয়ে যায়।
মেকআপ লাগানোর আগে প্রথমে সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিন যাতে সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি আপনার ত্বকের কোনও ক্ষতি করতে না পারে।
মেকআপ ব্যবহারের পরেও যাতে ত্বকের নিজস্ব আর্দ্রতা বজায় থাকে তার জন্য ত্বকের ধরণ অনুযায়ী ভাল মানের ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
ওয়াটার প্রুফ মেকআপ শুরু করার আগে অবশ্যই প্রাইমার লাগিয়ে নিন।
মেকআপ লুক যাতে খারাপ না হয় তার জন্য ওয়াটারপ্রুফ ফাউনডেশন বাছুন।
ওয়াটারপ্রুফ কাজল ব্যবহার করুন যাতে ঘামে বা জলে কাজল ধেবড়ে না যায়।
ঘামে বা জলে মাস্কারা যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য ওয়াটারপ্রুফ মাস্কার ব্যবহার করুন।
ওয়াটার প্রুফ মেকআপ সবসময় হাল্কা রাখুন যাতে ন্যাচারাল লুক বজায় থাকে। ত্বকেরও ওপর হাল্কা থাকে যাতে ত্বক নিশ্বাস নিতে পারে।
মাস্কের ভিতরে কিংবা খাবার সময় লিপস্টিক যাতে উঠে না যায় তাই ব্যবহার করুন ওয়াটারপ্রুফ লিপস্টিক।
মেকআপ লাগানোর পর এই পাউডার মেকআপ সেট করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
যদি ত্বক সংবেদনশীল কিংবা ব্রণ প্রবণ হয় তা হলে মেকআপ ব্যবহারের আগে ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে কাজ করুন। এর পাশাপাশি ওয়াটার প্রুফ কিংবা অন্য কোন মেকআপ সামগ্রীর ব্যবহারের পর যদি ত্বকের কোনও সমস্যা হয় তা হলেও গড়িমসি না করে অবিলম্বে চিকিত্সকের সঙ্গে দেখা করুন। আর যে কোনও প্রোডাক্ট ব্যবহারের আগে অবশ্যই প্যাচ টেস্ট করুন।