কলকাতা: বাসন্তী পুজোর অষ্টমী তিথিতে করা হয় অন্নপূর্ণার পুজো (Annapurna Puja) । ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর অন্নদামঙ্গল কাব্যে দেবী অন্নপূর্ণার (Annapurna) মাহাত্ম্য বর্ণণা করেছেন।কথিত আছে শিব পাবর্তীর বিয়ের পর সুখে কৈটছিল তাদের দাম্পত্য জীবন। কিন্তু সুখের মাঝেই বেঘাত ঘটায় দাম্পত্য কলহ। প্রবল অশান্তির পর পার্বতী কৈলাশ (Kailash) থেকে মর্ত্যে চলে আসেন। সেই সময় দেখা যায় মহামারি, অন্ন কষ্ট। এরপর কাশীতে (Kashi) মহাদের অন্নপূর্ণার কাছে ভিক্ষা চান। সেই ভিক্ষা গ্রহণ করে মহামারী, অন্নাভাব থেকে ভক্তদের রক্ষা করেছিলেন অন্নপূর্ণা। চৈত্রের শুক্লপক্ষে বুধবার দেবী অন্নপূর্ণার আরাধনা আজ বাঙালির ঘরে ঘরে। দ্বিভূজা দেবীর একহাতে কলস, অন্য হাতে তিনি অন্নদান করছেন ভগবান শিবকে। মনে করা হয়, গৃহে অন্নপূর্ণার পুজো করলে কখনওই অন্নের অভাব হয় না। অন্নপূর্ণা পুজোয় দরিদ্র নারায়ণ সেবা করলে ঘরে সমৃদ্ধি আসে। বুধবার সারাদিনই অষ্টমী রয়েছে। ফলে সেই মতো পুজো অর্পণ করতে পারেন। অন্নপূর্ণা পুজোর দিন কী কী করলে পুণ্য লাভ হবে জেনে নিন।
পৃথিবীতে খাদ্য সরবরাহ করা হয় শুধুমাত্র মা অন্নপূর্ণার কাছ থেকে। তাই রান্নাঘর অন্নপূর্ণা মাতার স্থান ধরা হয়। এটি বিশ্বাস করা হয় যে মা অন্নপূর্ণার পূজা এবং খাবারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ব্যক্তিকে কখনই ক্ষুধার্ত থাকতে হয় না। তাই এই দিনে খাবারের অপমান করা উচিত নয়। কথিত আছে, যে বাড়িতে মা অন্নপূর্ণার আশীর্বাদ থাকে, সেখানে কোনো ধরনের অভাব হয় না। মা অন্নপূর্ণার কৃপায় খাদ্যশস্যের ভাণ্ডার পূর্ণ থাকে, অর্থের অভাব দূর হয়।
আরও পড়ুন:Cockroaches Survived | মহাপ্রলয়ে নিশ্চিহ্ন হয়েছিল ডাইনোসররা, অথচ দিব্যি বেঁচে রইল আরশোলা, কী করে?
অন্নপূর্ণার ভাঁডডার কখনও খালি হয় না। অন্নপূর্ণা পুজোয় খাবার নষ্ট করবেন না। অন্নপূর্ণা অন্নের দেবী, তিনি অপচয় পছন্দ করেন না।
মা দুর্গার সঙ্গে সঙ্গে শিবেরও আরাধনা করতে হবে এদিন। একটি জবা ফুলে লাল চন্দন লাগিয়ে তার মধ্যে একটি এলাচ দিয়ে দেবীরে পুজো করুন। বাড়িতে অন্নপূর্ণার আরাধনা হলে অন্নকূট করুন। পুজোর ভোগে মায়ের প্রিয় মুগের ডাল, ভাত, শাক ভাজা, মোচার ঘন্ট আর ছানার ডালনা রাখুন।
এদিন দান করুন (Donate)। নিজের ঘর থেকে চাল নিয়ে দান করুন গরিব মানুষদের। দরিদ্রকে পিতলের পাত্রে আতপ চাল দান করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এই দিন আমিষ ভোজন করবেন না। মদ্যপান, ধূমপান থেকে দূরে থাকবেন।এমন কোন ব্যবহার করবেন না যাতে অপর মানুষ খুশি হন। মিথ্যে কথা বলবেন না। মিথ্যাচারে অসন্তুষ্ট হন দেবী