একদিকে গরম ও ঘাম অন্যদিকে মেকআপে, দূষণ ও বর্জ্য পদার্থ। খুব স্বাভাবিক ঘামের সঙ্গে এই সব মিলে মিষে ত্বকের বিপদ বাড়াবেই। তাই সময় থাকতেই ত্বক ভাল রাখতে তরতাজা সময় পেলেই অবশ্যই স্কিন ডিটক্স করে ফেলুন চটপট। পার্লারে বা সাঁলোতে যাওয়ার দরকার নেই বরং বাড়িতেই এই কাজ সেরে নিন এই ভাবে।
ক্লেনজার– দিনের শুরুই হোক কিংবা রাতে ঘুমোত যাওয়ার আগে ত্বক পরিষ্কার করতেই হবে। এর জন্য আপনার ত্বক অনুযায়ী ক্লেনজার বেছে নিন। শুষ্ক ত্বক হলে ক্রিমযু্ক্ত ক্লেনজার বাছুন অন্য কোনও ক্লেনজারের ডিপ ক্লেনজিংয়ের কারণে নষ্ট হতে পারে ত্বকের আদ্রতা। মুখে মেকআপ থাকলে ডাবল ক্লেনজিং করতে হবে।
এক্সফোলিয়েট– ত্বকের মৃত কোষ জমে থাকলে ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়ে, তৈরি হয় ব্রণ বা ফুসকুড়ির সমস্যা। তাই এক্সফোলিয়েট ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বরপূর্ণ তবে তার মানে এই নয় যে রোজ এক্সফোলিয়েট করবনে। সপ্তাহে দু’বার আর খুব বেশি হলে তিনবার চারকোল, কফি কিংবা ওটস ব্যবহার করতে পারেন। গ্র্যানিউলার বা দানা পদার্থের বদলে মসৃণ এক্সফোলিয়েটার ব্যবহার করুণ। এটা ত্বকের কোনও ক্ষতি করবে না। এক্সফোলিয়েশন হল ত্বকের গভীরে গিয়ে পরিষ্কার করা। এর ফলে রোমকূপের মুখ আটকে গেলে কিংবা ব্ল্যাকহেড হলে তা পরিষ্কার করতে এটা বেশ কার্যকরী।
ফেস মাস্ক-বাজার থেকে না কিনে বাড়িতেই ফেস প্যাক বানিয়ে নিন। প্রাকৃতিক উপকরণে তৈরি ফেস প্যাক রোদে পোড়া ত্বকের শ্রুশ্রুষা করবে এবং ত্বকের নিজস্ব জৌলুস ফিরিয়ে আনবে। সপ্তাহের দু’দিন এই ফেস প্যাক লাগান। এতে ত্বক পরিষ্কার করা থেকে শুরু করে, ত্বকের জৌলুস বজায় রাখা, ব্রণর মোকাবিলা, ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়িয়ে তোলার মতো ত্বকের একাধিক উপতার করতে পারে।
স্টিমিং- ফেস প্যাক লাগিয়ে পাঁচ থেকে দশ মিনিট মুখে ভাপ দিয়ে নিতে পারেন।
আর সব শেষে পরিমিত ও সুষম আহার খান। এই গরমে মশলাদার খাবারের বদলে হালকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন এতে হজমশক্তি ভাল থাকবে। বর্জ্য পদার্থ নিকাশি ব্যবস্থাও ভাল থাকবে। অন্যদিকে খারাপ হজমশক্তির মানে বর্জ্য পদার্থ নিকাশে সমস্যা আর তার প্রভাব পড়ে ত্বকের ওপরও।
এই বিষয়গুলোর দিকে নজর রাখলে দেখবে এই গরমেও ত্বক ভাল থাকবে।