ফের নামছে তাপমাত্রার পারদ, বাড়ছে শীত। করোনাকালে তাপমাত্রার এই ওঠা নামা আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে যাতে বিপন্ন না করে সেদিকে নজর রাখা দরকার। তবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তো আর রাতারাতি বাড়িয়ে তোলা সম্ভব নয়, তাই নিত্য জীবনাযাপনে নিয়ন্ত্রণে আনা অত্যন্ত আবশ্যক। শরীরচর্চা, সুষম আহার এবং পর্যাপ্ত ঘুমের খুবই প্রয়োজন। আর এর পাশপাশি যেটা করতে পারেন সেটা হল দারুণ এই চা নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। চা খাওয়া নিয়ে যদি আপনার পিউরিটান মনোভাব না থাকে তা হলে আজই বানিয়ে ফেলুন আদা ও হলুদ দিয়ে এই `ইমিউনিটি আপ টি`। চায়ের এই রেসিপি তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী মালবিকা মোহানান।এই চা খেয়ে তিনি এতটাই উপকৃত যে তার কাছে এই জিঞ্জার-`টারমারিক টি হল টি অফ দ্য মন্থ।`
View this post on Instagram
তবে আদা চায়ের এই উপকারিতার কথা নতুন নয় সেই প্রাচীনকাল থেকেই অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি, অ্যন্টিঅক্সিডেন্ট ও নানা সমস্যার নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করা হয় এই আদা চা। আদাতে জিঞ্জেরোল নামে একটি প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে। এই ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট হজম সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করে।
গ্যান্ট্রোইনটেস্টিনাল ট্র্যাক্টে থাকা মাইক্রোবায়োম বা গুড ব্যাক্টেরিয়াকে বাঁচিয়ে রাখে। এখানেই শেষ নয় অন্যান্য ভেষজের তুলনায় আদা বমি, পেট খারাপ সহ একাধিক শারীরিক সমস্যায় কাজে আসে।আদা শরীর গরম রাখে ও শরীরের বর্জ্য পদার্থ জমতে দেয় না।
অন্যদিকে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে হলুদ খুবই জনপ্রিয়।এর পাশাপাশি অ্যান্টি ভাইরাল, অ্যান্টি ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল কার্যকারিতা রয়েছে হলুদের। এর ফলে হলুদ খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।
তাই এই আদা-হলুদের চা কীভাবে বানালে আপনি এই দুটি উপকরণের পর্যাপ্ত লাভ পাবেন দেখে নিন-
কীভাবে বানাবেন
একটা সসপ্যানে জল গরম করুন। জলে ফুটে গেলে সবকটা উপকরণ মিশিয়ে দিন। ফুটিয়ে নিন যতক্ষণ পর্যন্ত আদার গন্ধ জলের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে না ততক্ষণ ফোটাতে থাকুন।
প্রায় দশ মিনিট ধরে ফোটানোর পর একটি কাপে জল ছেঁকে নিন। চাইলে এর সঙ্গে মধু ও পাতিলেবুর রশের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন।
(ছবি সৌ:Instagram@Malavika Mohanan)