পুজো মানেই ঠিক ভুলের হিসেব না করেই মনের আনন্দে জমিয়ে খাওয়া দাওয়া। পুজোর কটা দিন নিত্যদিনের খাদ্যভ্যাসের অনেকেই পাত্তাই দেন না। এর ফলে যা হওয়ার তাই হয় পুজো মিটতে না মিটতে শরীর খারাপ কিংবা পেটের নানা সমস্যা। পুজোর দিনগুলোতে একটু আধটু নিয়মে ভেঙে খাওয়া দাওয়া চলতেই পারে কিন্তু একেবার ইউ টার্ন নিলে সমস্যা পড়তে হবে। তাই এবার কালীপুজোয় নিয়ম না ভেঙে বরং এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন। যেমন-
দুধ জাতীয় মিষ্টি বা ডেসার্ট খাওয়ার চেষ্টা করুন যেমন শ্রীখণ্ড, সন্দেশ, মিষ্টি দই, পায়েস ইত্যাদি। এতে দুধের থাকা উচ্চ মানের প্রোটিন আপনার শরীরে সহজেই পোঁছবে। আর এই মিষ্টিগুলো সহজেই বাড়িতে বানিয়ে ফেলা যায়। এর ফলে কোনও উপকরণের ভেজালের সমস্য থেকেও বেঁচে যাবেন। তবে যাঁদের ল্যাক্টোস ইন্টলারেন্স কিংবা দুগ্ধজাতীয় খাবার হজমে সমস্যা আছে তারা দুধের বদলে অন্য হেলদি অলটারনেটিভ ব্যবহার করতে পারেন।
চিনির বদলে অন্যান্য ফ্লেভারিং এজেন্ট যেমন দারুচিনি, জাইফল, ড্রাই ফ্রুট, খেজুর, কিশমিশ কিংবা টাটকা ফল ব্যবহার করতে পারেন। এমনকি চিনির বদলে গুঁড় ও মধুও ব্যবহার করতে পারেন।
উত্সবের মরসুমে বেশ কিছু জনপ্রিয় মিষ্টি আছে সেগুলি না খেয়ে হেলদি অলটারনেটিভ বেছে নিতে পারেন। যেমন-
কাজু বরফি বা কাজু কাতলির বদলে বাদাম (আমন্ড বাদাম) কাতলি খেতে পারেন। এতে শরীরে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রী ফ্যাটি অ্যাসিড যাবে।
বেসনে যাদের সমস্যা তার পিনাট লাড্ডু খেতে পারেন আবার নারকেলের লাডডু তে যাঁদের অ্যাসিডিটি বা পেটের সমস্যা হয় তাঁরা কর্নাটককের জনপ্রিয় মিষ্টি মাইসোর পাক খেতে পারেন। এতে শরীরে প্রোটিন সহজেই পাবেন।
রসের মিষ্টির বদলে গাজরের কিংবা মুগডালের হালুয়া খেতে পারেন। এই উপকরণ গুলিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন পাবে আপনার শরীর।
যাই খান মেপে খান। পেটের খিদে আর চোখের খিদের তফাতটা মাথায় রাখুন সব সময়। বেশ কিছু মিষ্টি যেমন মালপুয়া, কালো জাম বা পান্তুয়া এগুলোতে ফ্যাটের পরিমান বেশি থাকে তাই খেলে বুঝে খান। এক বা নিদেন পক্ষে দুটো কিন্তু তার বেশি খাবেন না।
আর পারলে দুপুরের খাবারের সঙ্গে নানান সবজি দিয়ে বানানো স্যালাড খান। ফলে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি যাতে আমাদের শরীর সব সময় পায়। এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেন ভাল থাকে।
আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব এবং বাড়ির প্রত্যেকের জন্য পানীয় হিসেবে জিঞ্জার লেমনেড, ভার্জিন পিনা কোলাডা, কিওয়ি মার্গারিটা, মৌরি দেওয়া মিল্কশেক এই সব রাখুন। এতে মুখের চেনা স্বাদের সুস্বাদু ও পুষ্টিকর বদল আসবে।