সপ্তাহের শেষে ঘর, আসবাব পত্র ঝেরে মুছে একেবারে চকচকে করে ফেলেছেন। এবার পালা কালিপুজোর আগে ঘরে নতুন চমক আনার। একদিকে যখন আবার উর্ধ্বমুখি করোনার গ্রাফ তখন বাড়িরে বাইরে পা না রেখে আলোর রোশনাইয়ে ভরিয়ে তুলুন বাড়ি। বাড়িতেই পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে চুটিয়ে নিন উত্সবের আনন্দ। কাজে লাগান এগুলি-
মোজাইক গ্লাস টিলাইট ক্যান্ডেল হোল্ডার
বাড়িতে যেখানেই রাখুন না কেন, মেজেতে, ডেস্কে,টেবিলে এমনকি ডাইনিং টেবিলে এই জিনিস এমন যে নজর কাড়তে বাধ্য। আপনার পছন্দ মত বা প্রয়োজন মত পুরো সেট কিংবা এক পিস কিনতে পারেন এই মোম দানী।
ডোর হ্যাঙ্গিং
বলা বাহুল্য এই ডোর হ্যাঙ্গিংগুলো যেন বাড়ির পরিবেশটাই এক মুহূর্তে বদলে দেয়। বিশেষ করে আপনার বাড়িকে ফেস্টিভ লুক দিতে বেছে নিন উৎসবের দিনগুলির জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি এথনিক লুকের ডোর হ্যাঙ্গিং।
থ্রিডি ফ্লোটিং রিফ্লেকশন প্রদীপ
এই ফ্লোটিং প্রদীপগুলো সত্যি দারুণ। আর উৎসবের মরসুমে এই থ্রিডি ফ্লোটিং রিফ্লেকশনয়ালা প্রদীপ এখন বেশ ট্রেডিং। ঘরেরে শোভা তো বাড়াবেই আবার নজরকাড়বে সবার। তাই এবার পুজোয় এই প্রদীপ কিন্তু না হলেই নয়।
অ্যাক্রিলিক রঙ্গোলি ও টি লাইট হোল্ডার
এটা ঠিক রঙ্গোলি ব্যাপার টা উত্তর ভারতীয় তবে আলপনা তো বাঙালির ঐতিহ্য। সেক্ষেত্রে এই অ্যাক্রিলিক রঙ্গোলি ব্যবহার করলে আলপনার সাধও মিটবে আবার পুজোর দিনের ফেস্টিভ লুকটাও বজায় থাকবে। ঘর দেখতেও সুন্দর লাগবে আবার পা লেগে ঘেটে যাবার কোনও ঝামেলাও নেই।
গাঁদা ফুলের মালা
উৎসব হোক কিংবা কোনও অনুষ্ঠান, গাঁদা ফুলের মালা পুরো পরিবেশটাই যেন বদলে দেয়। দামী আলো বা ঘর রোশনাইয়ের হাজারো সরঞ্জাম নাই বা থাকুক এই ফুলের মালা হলে ফেস্টিভ লুক চলেই আসে। চাইলে আর্টিফিসিয়াল গাঁদা ফুলের মালা বেছে নিতে পারেন। আবার চাইলে টাটকা ফুলের মালা দিয়ে ঘর সাজাতে পারেন। বলা বাহুল্য আসল ফুলের মালা আরও সুন্দর করে তুলবে পরিবেশ। আবার চাইলে আসল ও আর্টিফিসিয়াল দুরকমের ফুলের মালা একসঙ্গে ব্যবহার করতে পারেন। এতে টাটকা ফুলের মালা বেশি পরিমাণে না পাওয়া গেলেও ঘর সাজানোতে কোনও খামতি থাকবে না।
ছবি সৌজন্য: Pixabay