কদিন পরেই ভ্যালেন্টাইনস দিবস (Valentine’s Day)। সঙ্গীর সঙ্গে কলকাতায় ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান মোটামুটি তৈরি। ঘুরতে গিয়ে পেটপুজো তো করতেই হবে। কলকাতায় ঘুরতে ত যাবেন, তবে পেটপুজোয় কী কী খাবেন তা ঠিক করেছেন? ভ্যালেন্টাইনস দিবসের দিন রাস্তার খাবার না খেলে কিন্তু বাঙালি ঐতিহ্য নষ্ট হয়। দক্ষিণ থেকে উত্তর ভায়া মধ্য কলকাতায় ভ্যালেন্টাইনস দিবসে প্ল্যান প্রতি বছরই হয়। কিন্তু এইদিন এসি রেস্তোরাঁয় ঢুকে পড়াই যেন আজকাল রেওয়াজ হয় দাঁড়িয়েছে। কিন্তু গত শতাব্দীর শেষের দশকগুলিতে ফুটপাথের রোল, চাউমিন, ঝালমুড়ি, ফুচকা না হলে বাঙালির ভ্যালেন্টাইনস দিবস।
সম্পূর্ণ হত না। নতুন প্রজন্ম এসবের ধার দিয়েও যায় না। কিন্তু এই রাস্তার খাবারের যে স্বাদ তা কোনও নামী দামি রেস্তোরাঁয় মিলবে না। আর সেই রাস্তার খাবারের তালিকায় কিন্তু সর্ব ভারতীয় কিংবা কন্টিনেন্টাল সবই পাবেন। ফুচকা থেকে মোমো, কবিরাজি থেকে পাওভাজি, তালিকাটা দীর্ঘ। তাহলে কয়েকটি ‘ফুটপাথি’ খাবার দোকানের খোঁজ জেনেনিন।
যেখানেই ফুচকা খান না কেন কলকাতার আলু মাখা ফুচকার তুলনাই আলাদা। আর তার মধ্যে অন্যতম সেরা বিবেকানন্দ পার্কের ফুচকা। পার্কের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় ধনেপাতা, বিটনুন, গন্ধ লেবু, তেঁতুলের জল মিশ্রিত গন্ধ আপনাকে সম্মোহিত করে ফেলবে। এখানকার দই ফুচকা এবং আলুরদমও দারুণ বিখ্যাত। তবে এইবেলা বলে থাকি ভালো ফুচকা খেতে চাইলে যাদবপুরেও ঘুরে আসতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে হোক কিংবা সুকান্ত সেতুর মোড়ের ফুচকা সবই অতুলনীয়।
আরও পড়ুন: প্রেম দিবসে ঘুরে আসুন কলকাতার এই জায়গাগুলোয়
১৯৩০ সালে শেখ হাসান রাজা নিজামের দৌলতে আবিষ্কৃত হয় কাঠি রোল। সেই রোল এখন কলকাতার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী খাবার। এখনও পর্যন্ত কলকাতার সেরা রোলের দোকান হগ স্ট্রিটের এই নিজামস্। নিউ মার্কেটের পিছনেই রয়েছে এই বিখ্যাত রোলের দোকানটি। নিজামে যেতে না পারলে পার্কস্ট্রিটের জাইকা, কুসুম কিংবা হট কাঠি রোল যেতে পারেন।
হরিশ মুখার্জি রোডের বলবন্ত সিং ইটিং হাউজের যে কোনও খাবার খেয়ে দেখুন। ভীষণ সুস্বাদু। কিন্তু এখানকার দুধ কোলার স্বাদ একদম অনবদ্য। থাম্পস্ আপ বা ফ্যান্টার সঙ্গে দুধ এবং চিনি মিশিয়ে অসাধারণ এক শরবত তৈরি করেন এঁরা। একবার খেলে বার বার খেতে ইচ্ছে করবে। গরমের সময় এই দোকানে ভীষণ ভিড় দেখতে পাবেন।
কলকাতার খাদ্যরসিক বাবুদের কথা ভেবেই মিত্র ক্যাফে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন গণেশ মিত্র। মাছ, চিকেন, মটন, চিংড়ির চপ কাটলেট খেলে পয়সা উসুল। এখানকার চিকেন বা মটন কবিরাজি, ফিশ ডায়মন্ড ফ্রাই, ব্রেইন চপ, প্রন আফগানির স্বর্গীয় স্বাদ অতুলনীয়।
রোল যদি হয় নয়নমণির ফিশফ্রাই কলকাতার প্রাণ। আর ভাল ফিশ ফ্রাই খেতে হলে গোলপার্ক ক্রসিং-এ সোজা চলে যেতে পারেন। এছাড়াও রাসবিহারী রোডে বাসন্তিদেবী কলেজ পেরিয়ে ছোট্টো একটি ফাস্ট ফুডের দোকানের ফিশফ্রাইয়ের কোনও তুলনা হয় না।
আরও অন্য খবর দেখুন