কলকাতা: ট্যাটু (Tattoo) এখন হালের ফ্যাশন (Fashion) হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটা সময়ে খেজুর কাঁটা আর গাছের রস দিয়ে উল্কি করা হত। সেই উল্কিই আজ ট্যাটুর আদলে তরুণ তরুণীদের কাছে ধরা দিয়েছে ফ্যাশন হিসেবে। রাস্তায় নামলেই এখন পিঠের ফাঁকে, বাহুতে বা কবজি বা পায়ের পাতায় ট্যাটুর দর্শন পাওয়া যায়। হরেক রকমের ট্যাটু, তার হরেক রকম অর্থ। অনেকে প্রিয়জনের নাম লিখে ভালোবাসা প্রকাশ করতেও শরীরে এই উল্কি একে নেন। আবার অনেকে পছন্দের গায়কের গানের কথায় সাজান হাত কিংবা ঘাড়। কিন্তু জানেন কী ট্যাটু করার আগে বেশ কয়েকটি বিষয়ে নজর রাখা উচিত। জেনে নিন সেগুলি কী কী –
১) ট্যাটু করাতে ব্যথা লাগে। তাই এর জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত থাকুন। আপনি কেন ট্যাটু করাচ্ছেন, এই বিষয়টি আপনার মনে পরিষ্কার হওয়া উচিত।
২) ডিজাইন বাছাই করার আগে কিছু জিনিস মাথায় রাখুন। কারণ এটি স্থায়ী।
৩) ট্যাটু করার ফলে শরীরের কিছু জায়গায় বেশি ব্যথা হতে পারে। আপনার সংবেদনশীল ত্বক থাকলে একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
৪) ট্যাটু করার আগে শিল্পীর পোর্টফোলিও পরীক্ষা করুন।
৫) ট্যাটু করার জন্য সর্বদা একটি নতুন সুই ব্যবহার করুন। এছাড়াও ট্যাটু সরঞ্জাম এবং দোকান পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা দেখুন।
আরও পড়ুন:রোমাঞ্চকর ভ্রমণ করতে চান? ঘুরে আসুন এই জায়গা থেকে
৬) ট্যাটু করানোর পরেও যত্ন নিতে হবে। একজন শিল্পী যত ভালো করেই ট্যাটু করে দিক না কেন, যার শরীরে ট্যাটু করা হয়েছে তার যত্নের উপরই নির্ভর করছে শেষ পর্যন্ত তা শরীরে কতো সুন্দরভাবে ফুটে উঠছে।
৭) ট্যাটু করার পর পাতলা প্লাস্টিকের সাহায্যে ঢেকে দেওয়া হয় অংশটি। বাড়ি ফিরে সেটা খুলে পরিষ্কার করতে হয়। তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জল লাগানো যাবে না। এরপর সামান্য জল লাগানো যাবে। তবে ৭ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত যত কম জল লাগানো যায় ততই ভালো।
৮) ট্যাটু করার পর অয়েন্টমেন্ট দেওয়া হয় ১০ থেকে ১৫ দিন ব্যবহারের জন্য। এছাড়াও আরেকটি ব্যবস্থা রয়েছে। সেটাতে প্রোটেক্টিভ লেয়ার স্টিকারের মতো লাগিয়ে দেওয়া হয় ট্যাটুর উপরে। এই স্টিকার ১০ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত রাখা যায়। তবে এটার জন্য বাড়তি টাকাও দিতে হয়।