আমাদের জীবনে বা বাড়িতে অনেক সময় এমন কিছু জিনিস থাকে যার সাথে জড়িয়ে থাকে অনেক সুখের মুহূর্ত কিংবা স্মৃতি। সেগুলো এমনভাবে আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে যে নষ্ট হয়ে গেলে কিংবা ভেঙে গেলেও সেগুলো ফেলে দিতে মন চায়না। তাই কম বেশি প্রত্যেক বাড়িতেই ভাঙা কাচের বয়াম হোক কিংবা চিড় খাওয়া চিনেমাটির প্লেট হোক কিংবা আবার রঙ ওঠা পুরোনো হয়ে যাওয়া কার্পেট কিংবা ছোটবেলাপ বিশেষ কোনও জামা কাপড় স্টোর রুমে থেকেই যায়। কিন্তু আপনি কি এটা জানেন এমন অনেক জিনিস আছে যা ব্যবহার অযোগ্য হয়ে গেলে কিংবা ভেঙে গেলে বাড়িতে না রাখাই ভাল। কারন, মনে করা হয় এগুলো বাড়ির ওপর অশুভ প্রভাব ফেলে। এটা এমন একটা বিষয় যে তর্কে বহুদূর যাওয়া যেতেই পারে। তবে সে পথে না হেটে যদি সেগুলো বাড়ি থেকে বিদায় দেন তাহলে মন্দ হয় না। যেমন-
শুকিয়ে যাওয়া কিংবা মরা গাছ
সাধারণত মরা গাছ বাড়িতে কেউই রাখেন না। তবে কয়েকজন এমনও থাকেন যারা গাছ বেঁচে ওঠার অপেক্ষায় কিংবা ব্যাস্ততা বা অলস্যের কারনে তত্ক্ষণাৎ গাছ তুলে ফেলে দেন না। কিন্তু এই মরা গাছই নাকি আপনার বাড়িত ডেকে আনতে পারে স্ট্রেস ও নেগেটিভিটি। তাই বাড়িতে গাছ মরে গেলে তা তক্ষুনি ফেলে দেওয়া ভাল।
ভাঙা বা চিড় খাওয়া আয়না
অনেকের বাড়িতেই এরকম আয়না নিশ্চয় থাকে যার কোনও একটা কোনা ভাঙা কিংবা ছোট করে চির খেয়ে গেছে। সেগুলো আমাদের কাজে তেমন কোনও অসুবিধে সৃ্ষ্টি করে না তাই এগুলো সরিয়ে ফেলার তেমন কোনও তাগিদও অনুভব হয় না। তবে বাড়িতে কোনও মতেই ভাঙা কাচ বা আয়না বাড়িতে রাখা উচিত নয়। তা যতই মূল্যবান হোক না কেন। ভাঙা কাচে আহত হওয়ার সম্ভাবনা তো আছেই তা ছাড়া এর ফলে বাড়ির পরিবেশে একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
ছবি বা আঁকা যাতে মৃত্যু দেখানো হয়েছে
অনেকেই নামী শিল্পের হাতে আঁকা দামী ছবি দিয়ে বাড়ি সাজাতে ভালবাসেন, তা বিষয়বস্তু যাই হোক না কেন। অনেক সময় ইতিহাসের পাতা থেকে মৃত্যুর কোনও উল্লেখ্যযোগ্য মৃত্যুর ঘটনা ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলেন শিল্পীরা। তবে সেই আঁকা যতই আপনার মনে ধরুক না কেন, বাড়িতে ভুলেও আনবেন না। মৃত্যু জীবনের পরম সত্যি হলেও ঘরে এ রকম ছবি বা আঁকা যদি তোলা হয় তাতে প্রভাব পড়ে বাড়ির পরিবেশেও। তাই, হয় একেবারে বাড়ির বাইরে করুন আর তা করতে যদি মন না চায় তা হলে অন্তত বাড়ির এমন জায়গায় রাখুন যেখানে আপনার প্রত্যেকদিন যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।