সোশাল মিডিয়া মার্কেটিং আর চটকদার ভিডিও দেখে আপনি এমন প্রভাবিত হয়েছেন যে, অনলাইনে নামী-দামি ব্র্যান্ডের পুজোর সময় অফারে মেকআপ সামগ্রী কেনার লোভ সামলাতে পারেননি। অর্ডার দিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু ওই নিত্যদিনের কাজল আর লিপস্টিক আর বিশেষ অনুষ্ঠানে আইলাইনার আর ফাউন্ডেশনের বাইরে তেমন ভাবে মেকআপ ব্যবহার করেননি। এখন ভাবছেন নিত্য দিনে কীভাবে কাজে লাগাবেন এই সব সামগ্রী। মেকআপ আর্ট নিঃসন্দেহে রপ্ত করা সময়সাপেক্ষ। তবে সঠিক সরঞ্জামের ব্যবহারে কাজটা অনেকটাই আয়ত্তে আনা যায়। তাই মেকআপ সামগ্রীর ঠিক ঠিক ব্যবহারে এই সরঞ্জামগুলি সঙ্গে রাখুন। ভীষণ কাজে দেবে-
বিউটি ব্লেন্ডার (Beauty Blender)
মেকআপের এই সরঞ্জাম বিশ্বখ্যাত। প্রত্যেক মেকআপ আর্টিস্টরাই ভাল মেকআপের জন্য এই ব্লেন্ডারটি ব্যবহার করেন। এই ব্লেন্ডারটি ব্যবহার করাও খুব সহজ। টিয়ার ড্রপ আকারের এই ব্লেনডার ফাউন্ডেশন ক্রিম বা লোশন শুষে নেয় না৷ এর ফলে খুব অল্প পরিমাণেই কাজ সারা যায়। পাশাপাশি ব্রাশের বদলে এই ব্লেন্ডারে বাউনসের মাধ্যমে ক্রিম বা লোশন লাগালে সেটা মুখে সমানভাবে লাগানো যায়। এতে ফাইনাল লুক আরও ফুটে ওঠে।
কাবুকি ব্রাশ (Kabuki Brush)
মেকআপের পর সেটিং পাউডারের ব্যবহারে তা ঠিকমতো মুখে বসাতে এই কাবুকি ব্রাশ ভীষণ প্রয়োজনীয়। এই ব্রাশের ঘন ও মোটা ব্রিসেল্স সেটিং পাউডার মুখের চারপাশে সমান ভাবে ছড়িয়ে দেয়। এতে মেকআপের বেস ভাল তৈরি হয়। আর বেস ভাল হলে মেকআপও ভাল হয়।
অ্যাংগেল্ড ব্রাশ (Angled Brush)
আপনার মুখকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে মেকআপ কিটের অন্যতম এই সরঞ্জাম। ফেস কনট্যুরিং(contouring) ও স্কাল্পটিং(sculpting) ভাল মেকআপ (makeup)করতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এই ব্রাশ সুন্দর ভাবে আপনার চিকবোন (cheekbone), কান(ears) ও জলাইনকে (jawline) ঢেকে দেয়। এবং এর সাহায্যে ব্লাশও সুন্দরভাবে লাগিয়ে নিতে পারবেন।
আইশ্যাডো অ্যাপ্লিকেটারস (Eye shadow Applicators)
আই মেকআপ কিটের সঙ্গে যে ব্রাশ আসে তা ব্যবহার অযোগ্য ভেবে ফেলে দেবেন না। এই ব্রাশের ছোটো মাথাগুলো অ্যাইশ্যাডো লাগানোর সময় খুব কাজে আসে। এটা দিয়ে ব্লেন্ড করা যাবে না ঠিকই, কিন্তু আইশ্যাডো চোখে এর ব্যবহারে সহজে লাগানো যায়।
অ্যাইশ্যাডো ব্লেনডিং ব্রাশ (Eye shadow blending brush)
নাম শুনে এই সরঞ্জামের কাজ কী তা বুঝতেই পারছেন। এই বিশেষ ব্রাশগুলো সাধারণ সরু হয় যাতে সহজেই আইশ্যাডো চোখের পাতার সঙ্গে সুন্দর ভাবে মিশিয়ে দেওয়া বা ডিফিউজ করে দেওয়া যায়। চোখের এক কোণ থেকে অপর কোণ পর্যন্ত এই ব্রাশ ঘুরিয়ে নিলেই আপনি পারফেক্ট ব্লেন্ড পেয়ে যাবেন।
ব্রাও কোম্ব (Brow Comb)
ভুরুকে ভুলেও আবহেলা করবেন না। মেকআপের আগে যদি দেখেন ভুরুর চুল ঠিক নেই তা হলে টুইজারের সাহায্যে চুল তুলে নিন। তবে সেটা করার আগে ব্রাও কম্ব দিয়ে ভুরু আঁচড়ে দেখে নিন ঠিক কোন চুলটা বাদ দিতে হবে। এই কাজটা হয়ে গেলে। এ বার মেকআপের পরে আলতো করে ভুরু ভাল করে আঁচড়ে নিন এবং এবং ব্রাও জেল লাগিয়ে ভুরু ঠিক করে নিন।
আইল্যাশ কার্লার (Eyelash Curler)
ফলস আইল্যাশ আপনার একদম পছন্দ নয়? চাইলে ব্যবহার করতে পারেন আইল্যাশ কার্লার। এটা চোখের পাতার লোমকে সুন্দর আকার দেয়। এবং কার্লারের পর আপনি মাস্কারা ব্যবহার করলে আপনার সুন্দর চোখে দেখে অন্যদের চোখের পলক পড়বে না।