আধুনিক জীবনযাপনের ‘সাইড এফেক্টস’ হিসেবে ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। এদিকে এই ওজন কমাতে গিয়ে নানা রকমের পথ বেছে নেন অনেকেই। বলা বাহুল্য এগুলির অধিকাংশই সোশাল মিডিয়া থেকে পাওয়া একাধিক টোটকা। তবে সব টোটকাই যে সবার ক্ষেত্রে কার্যকরী হবে তা কিন্তু নয়। আবার অনেক টোটকাই বেশ গন্ডগোলের এবং একেবারেই স্বাস্থ্য কিংবা বিজ্ঞানসম্মত নয়। তাই সেগুলো কাজে লাগিয়েও ওজন কমে না বরং অন্যান্য সমস্যা তৈরি হয় কিংবা ওজন আরও বেড়ে যায়। তাই ওজন কমানোর একাধিক চেষ্টা চালিয়েও যদি আশানুরূপ ফল না পান তা হলে সকালে ওঠে এই কাজগুলো করতে পারেন। যেমন-
ব্রেকফাস্টে রাখুন হাই প্রোটিন খাবার
দিনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাবার, ব্রেকফাস্ট। তাই প্রাতরাশে হাই প্রোটিন ডায়েট থাকলে পেট দীর্ঘক্ষণ ভরা থাকবে। ঘন ঘন খিদে পাবে না কমবে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা।
সকালে জল খান
সকালে ঘুম থেকে উঠে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খান। অন্তত এক থেকে দু’গ্লাস জল অবশ্যই খান। একাধিক গবেষণায় জানা গেছে খালি পেটে বেশি করে জল খেলে ওজন কমে।
গায়ে রোদ লাগান
সকালে প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট রোদে বসুন বা হাটুন। যাতে সূর্য থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি আমাদের শরীরে পৌঁছায়। বেশ কয়েকটি গবেষণায় জানা গেছে এর ফলে ওজন কম হয়। কারণ এই ভিটামিন শরীরে থাকা ফ্যাট সেল বা কোষগুলির রূপ পরিবর্তন করে এবং শরীরে সেরোটোনিন ও টেসটোস্টেরনের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। এই সেরোটনিন আমাদের শরীরে খিদে থেকে শুরু করে, দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখা, ও ক্যালোরি ইন্টেকের অভ্যেস নিয়ন্ত্রণ করে। এই ভাবে শরীর ওজন কমাতে সাহায্য করে।
নিয়মিত শরীরচর্চা
সকালে ওঠে নিয়মিত শরীরচর্চা করুন এতে ওজন দ্রুত কমে। তবে সময়ের অভাব থাকলেও বিকেলেও শরীরচর্চা করতে পারেন কিংবা সকালে ওঠে ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাঁটতে পারেন। এতে শরীর পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পাবে এবং দ্রুত ওজন কমবে।
পর্যাপ্ত ঘুম
ব্যস্ত জীবনে ঘুম নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামান না অনেকেই। তবে শরীর ও মন সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত ঘুম খুবই প্রয়োজন। বেশ কয়েকটি গবেষণায় জানা গেছে রাতে ভাল করে না ঘুমোনোর ফলে ওজন বেশি বাড়ে।