প্যান্ডেলে- প্যান্ডেলে ঘুরে ক্লান্ত! তবে সেই ক্লান্তি চোখে মুখে ফুঠে ওঠতে দেওয়া যাবে না কোনও মতে নাহলে সব সাজ যে একেবারে মাটি হয়ে যাবে। তা হলে কি করবেন? মেকআপের আগে প্রাইমার ভুললে চলবে না একদম। ভাল মেকআপের জন্য প্রয়োজন ভাল বেস। তাই মেকআপের আগে মুখের ক্লান্ত ঢাকুন প্রাইমারের আড়ালে। পাশাপাশি পুজো নাইটআউটের ফলে যদি ক্লান্ত ত্বকে মেকআপের ব্যবহারে ব্রণ বা ফুসকুড়ির সমস্যার হাত থেকে বাঁচাবে এই প্রাইমার। তবে আপনার প্রাইমার কি হাইকোয়ালিটির? কীভাবে বুঝবেন? দেখে নিন হাইকোয়ালিটি পাঁচটি প্রাইমারে বৈশিষ্ট্যগুলো-
থ্রি ইন ওয়ান অয়েল ফ্রি
এই অয়েল ফ্রি প্রাইমার সব রকম ত্বকের জন্যেই ভীষণ উপকারী। এটা বলিরেখা, ত্বকের কোচকানো ভাব সুন্দর করে ঢেকে দেয়। পাশাপাশি ত্বকের রোমকূপের ছিদ্র ছোট করে দেয়। এর ফলে ত্বক দারুণ মসৃণ দেখায়। আর এই থ্রি ইন ওয়ান প্রাইমার ত্বকের আর্দ্রতাও নিয়ন্ত্রণ করে তাই ত্বকের জৌলুস বজায় থাকে।
মেকআপ বেস প্রাইমার
মুখে প্রাইমার থাকলে ফাউনডেশন খুব ভাল কাজ করে। এই ধরনের প্রাইমারগুলো মুখের দাগছোপ, ডার্ক সার্কেল ও রোমকূপের ছিদ্র এগুলো সুন্দর ভাবে ঢেকে দেয় ফাউনডেশন। তবে এই কাজটা নিঃসন্দেহে প্রাইমার থাকলে কাজটা আরও ভাল হয়। এবং আবহাওয়ার তারতম্য হলেও মেকআপ দীর্ঘক্ষণ একইরকম ভাবে থাকে।
আন্ডারকভার জেল বেস প্রাইমার
সুন্দর মেকআপ মানে ভাল প্রাইমার। এই ধরনের প্রাইমার খুব সহজে ত্বকের সমস্যগুলি ঢেকে ফেলে। আবার একইসঙ্গে মেকআপের বিভিন্ন রকম সামগ্রী থেকে যাতে ত্বকের কোনও ক্ষতি হতে দেয় না প্রাইমার।
পার্ফেক্ট ম্যাচ প্রাইমার
আজকাল নন কোমেডোজেনিক প্রসাধনীর যুগ। বিশেষ করে আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় তা হলে এই ধরনের প্রাইমার বেছে নিতে পারেন। বিশেষ করে এগুলোতে যদি উপকরণ হিসেবে ভিটামিন ই থাকে তা হলে আরও ভাল। ত্বকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পৌঁছায় এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে।
প্রাইমার-এস অফ বেস
এই ধরনের প্রাইমারে একটা সিলকি ভাব থাকে। তাই ডিউই লুক পেতে এই প্রাইমার দারুন ভাল কাজ করে। ভীষণ হালকা হওয়ায় এই প্রাইমার ত্বকের দীর্ঘক্ষণ মেকআপ ধরে রাখে। তাই সারাদিনের মতো বাড়ির বাইরে থাকলেও মেকআপে থাকবে একদম ফ্রেশ এবং আপনি থাকবেন অলওয়েজ সেলফি রেডি।
আর আপনার পুজোর সাজের সেলফি পাঠাতে ভুলবেন না!