বলিরেখা থেকে শুরু করে পিগমেনটেশন, চামড়ার কুঁচকে যাওয়া, বয়স যে বাড়ছে তা সব থেকে আগে জানান দেয় ত্বকের এই পরিবর্তনগুলি। ত্বকের এই পরিবর্তনগুলি চাইলেও আটকানো সম্ভব নয় তবে যেটা করা যেতে পারে তা হল এর গতি স্লথ করে দেওয়া।
অনেকেই ত্বকের বয়স ধরে রাখতে হাত বাড়ান বাজারের নামী দামী সেরাম কিংবা ময়শ্চারাইজার দিকে। তবে কড়া রাসায়নিকের তৈরি এই সব প্রসাধনীর থেকে অনেক গুন বেশি কার্যকরী প্রাকৃতিক উপকরণ। রান্নাঘরের নিত্য প্রয়োজনীয় এই উপকরণগুলি অধিকাংশই যেমন সহজলভ্য তেমন সস্তা ও কার্যকরী। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে রইল সেরকমই সেরা পাঁচটি প্রাকৃতিক উপকরণের তালিকা। এগুলো চামড়া টানটান রাখে এবং চামড়া কুঁচকে যাওয়া কিংবা ঝুলে যাওয়া রোধ করে। যেমন-
মধু (honey)
অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল বা অ্যান্টিফাঙ্গাল কার্যকারিতা থাকার পাশাপাশি মধু ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। পাশাপাশি ফ্রি র্যাডিক্যালের সঙ্গে লড়াই করে ত্বকের তারুণ্যা ধরে রাখে। ত্বক টানটান ও সতেজ রাখে।
অলিভ অয়েল (olive oil)
অলিভ অয়েল ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। অলিভ অয়েল ত্বকের হারানো আর্দ্রতা জোগায়, ত্বক পেলব করে। পাশাপাশি এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ই আছে। এই ভিটামিন ই ত্বক টানটান করে। এছাড়া পিগমেন্টেশন থাকলে কিংবা ত্বকে দাগছোপ থাকলে তা দূর করে অলিভ অয়েল।
দই বা ইয়গহার্ট (curd/ yoghurt)
দই বা ইয়গহার্টে প্রচুর পরিমানে ল্যাক্টিক অ্যাসিড আছে। তাই দই মাখলে রোমকূপের ছিদ্র ছোট হয়ে যায়। এর ফলে ত্বক আরও উজ্জ্বল, নরম, ও টানটান দেখায়।
কফি (coffee)
কফিতে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি অক্সিডেন্টস আছে। তাই স্ক্রাবার বা এক্সফোলিয়েটার হিসেবে কফি ভীষণ কার্যকরী। কফি একদিকে যেমন ত্বকের ওপরের স্তরে থাকা মৃত কোষ, রোমকূপের মুখে আটকে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে তেমন আবার ত্বকে মালিশের ফলে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয় এবং ত্বক টানটান রাখে।
অ্যালোভেরা (aloevera)
রূপচর্চায় অ্যলোভেরার উপকারিতা এখন সর্বজন বিদিত। এতে থাকা ম্যালিক অ্যাসিড ত্বকের নমনীয়তা বজায় রাখে, ত্বক টানটান করে ও সহজে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
(ছবি সৌ: Unsplash)