ওয়েব ডেস্ক: আগামীকাল শুক্রবার রথযাত্রা (Rath Yatra 2025)। প্রভু জগন্নাথদেব তাঁর দুই সঙ্গীকে নিয়ে রওনা দেবেন মাসির বাড়ি। রথের (Rath) রশিতে টান দেওয়ার অপেক্ষায় মুখিয়ে রয়েছেন প্রভুর সকল ভক্তরা (Devotees)। পুরীর রথযাত্রার (Puri Rath Yatra) পাশাপাশি বাংলার নানান জায়গায় ধুমধাম করে পালিত হবে রথযাত্রা। এবছর আবার প্রথম রথযাত্রা উৎসব দিঘায় (Digha Jagannath Temple)। তাই চলতি সপ্তাহে গোটা বাংলা জুড়ে উৎসবের আমেজ (Festive mood)। শুক্রবার আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথি। ভক্তদের মধ্যে প্রচলিত এক বিশ্বাস রয়েছে, যে রথযাত্রায় যোগদান করলে হাজার হাজার যজ্ঞের পুণ্য লাভ হয়। এমন আরও অজানা তথ্য (Unknowing Facts) রয়েছে রথযাত্রার উৎসব ঘিরে। যা শুনলে চমকে যাবেন আপনিও। আজকের এই প্রতিবেদনে মিলবে সেইসব খুঁটিনাটি তথ্য।
১. জগন্নাথের রথ তৈরিতে কোনও লোহার পেরেক ব্যবহৃত হয় না। শুধুমাত্র কাঠের খুঁটি ও জয়েন্ট দিয়ে তা নির্মিত হয়।
২. প্রতিবছর অক্ষয় তৃতীয়ার শুভ তিথিতে রথ তৈরির কাজে হাত লাগান শিল্পীরা।
৩. নিমের এক বিশেষ কাঠ যা দর্শনী দারু নামে পরিচিত, তা নিয়েই নির্মিত হয় প্রভু জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার রথ।
৪. প্রভু জগন্নাথের রথ নির্মিত হয় লাল-হলুদ রঙে। বলরামের রথ লাল-সবুজে ও সুভদ্রার রথ লাল-কালো রঙে সেজে ওঠে।
৫. তিনটি রথের নাম আলাদা আলাদা। প্রভু জগন্নাথের রথের নাম গরুধধ্বজ বা নন্দী ঘোষ। বলরামের রথ তালধ্বজ এবং সুভদ্রার রথ পদ্মরথ বা দর্পদলন।
৬. উচ্চতার পার্থক্য রয়েছে তিনটি রথে। জগন্নাথের রথ ৪৫.৬ ফুট, বলরামের রথ ৪৫ ফুট এবং সুভদ্রার রথ ৪৪.৬ ফুট।
আরও পড়ুন: রথ নিয়ে কখন বের হবেন? জানুন সময়সূচী
৭. সাধারণ দর্শন নয়, গুন্ডিচা মন্দিরে প্রভু জগন্নাথের দর্শনকে আদপ-দর্শন বলা হয়।
৮. গুন্ডিচা মন্দিরে মাসির বাড়িতে ভগবানকে নানান নৈবেদ্য এবং সুস্বাদু খাবার নিবেদন করা হয়।
৯. পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রান্নাঘর বিশ্বের সবচেয়ে বড় রান্নাঘর হিসাবে বিবেচিত হয়।
১০. পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে মহাপ্রসাদ গ্রহণ করা এক মহান সৌভাগ্য বলে বিবেচিত হয়।
১১. মহাপ্রসাদের পাত্রের উপরে রাখা পাত্রের ভিত্তিতে সবার প্রথমের পাত্রের খাবার যেটা সবচেয়ে উপরে থাকে সেটি প্রথমে রান্না হয়, এটি এই আশ্চর্যজনক রান্নাঘরের বিশেষত্ব।
১২. একটি প্রচলিত বিশ্বাস রয়েছে যে প্রতি বছর আবহাওয়া যেমনই থাকুক না কেন রথের দিন বৃষ্টি হয়।
১৩. জগন্নাথের রথে ১৬টি চাকা, বলরামের রথে ১৪টি চাকা এবং সুভদ্রার রথে ১২টি চাকা থাকে।
১৪. প্রভুর রথযাত্রা শুরুর আগে পুরীর রাজা সোনার ঝাড়ু দিয়ে রথের সামনে ঝাড়ু দেন, যা ‘ছেড়া পহরা’ নামে পরিচিত।
১৫. জ্যেষ্ঠ পূর্ণিমার বিশেষ দিনে জগন্নাথের স্নানযাত্রা আয়োজিত হয়। প্রভুকে ১০৮টি কলস দিয়ে স্নান করানো হয়। স্নানযাত্রার পর মহাপ্রভু ১৫ দিন জ্বরে অসুস্থ থাকেন।
১৬. এই ১৫ দিন অনাসর গৃহে বিশ্রাম নেন প্রভু। যেখানে তাঁর চিকিৎসা হয়।
১৭. ১৫ দিন প্রভুর বিশ্রামকালকে অনাসর বলা হয়। যা প্রভুর মানবিক অবস্থা প্রতিফলিত করে।
১৮. রথযাত্রা হল জগন্নাথের মাসির বাড়ি গুন্ডিচা মন্দিরে যাত্রা।
১৯. রথের দড়ি শঙ্খচূড় নামে পরিচিত। এটি ছুঁলেই ভক্তরা পাপ থেকে মুক্ত হয়।
২০. রথযাত্রায় জগন্নাথের মহান অস্ত্র সুদর্শন চক্রও রাখা হয় যা দেবী সুভদ্রার রথে থাকে।
২১. সবার সামনে থাকে বলরামের রথ তারপর সুভদ্রার রথ এবং পিছনে থাকে প্রভু জগন্নাথের রথ।
দেখুন অন্য খবর