কলকাতা: ভারতের (India) বুকে রয়েছে বিশ্বের অন্যতম প্রধান ট্রেন নেটওয়ার্ক যা দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত। দেশের যেকোনও রাজ্যে পৌঁছাতে সাধারণ মানুষের প্রধান অবলম্বন হল এই ভারতীয় রেল (Indian Railway)। মোটামুটি সাধ্যের মধ্যে খরচ করে দেশের এক কোনা থেকে অন্য কোনায় যাওয়া যায় এই ট্রেনের (Train) মাধ্যমে। তবে রেলপথে যাতায়াতের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে রেলস্টেশন (Rail Station)। কিন্তু জানেন কী এমন একটি স্টেশন আছে সব স্টেশনের চেয়ে আলাদা। কারণ ২টি রাজ্য নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছে একটি স্টেশন! চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই কাহিনী।
মহারাষ্ট্র ও গুজরাট সীমান্তে অবস্থিত নয়াপুর রেলস্টেশন। দেশের আর পাঁচটা স্টেশনের মতই দেখতে। কোনও আলাদা কিছু নয়। কিন্তু স্টেশনটি দুই ভাগে বিভক্ত। কারণ স্টেশনের টিকিট কাউন্টার একটি রাজ্যের ভাগে পড়ছে। আর স্টেশনের স্টেশনমাস্টার যেখানে বসেন সেটি অন্য রাজ্যের ভাগে পড়ছে। স্টেশনটি মাঝখান থেকে কাল্পনিক ভাবে দ্বিধাবিভক্ত। শুধু একটি দিকে নজর করলে এই স্টেশনের ভাগাভাগি বুঝতে পারবেন সাধারণ মানুষও।
আরও পড়ুন:Lifestyle Tips | বর্ষাকালে ফোন ভিজে গেলে আগে যেগুলি করবেন
স্টেশনটি এমনভাবে রয়েছে যে তার একটি ভাগ পড়ছে গুজরাটে এবং অন্যটি মহারাষ্ট্রে। ফলে সেখানে স্টেশনের নাম চারটি ভাষায় লেখা থাকে। হিন্দি ও ইংরাজি ছাড়াও গুজরাটি এবং মারাঠি ভাষায় নাম লেখা থাকে নয়াপুর রেলস্টেশনের। দুটি রাজ্য হওয়ায় এই স্টেশনে একটি বিশেষ বেঞ্চ আছে। যেখানে যাত্রীরা বসতে পারেন। এই বেঞ্চটিও বিশেষভাবেই তৈরি করা হয়েছে। যার অর্ধেক পড়ছে গুজরাটে এবং অর্ধেক মহারাষ্ট্রে। বেঞ্চের কোন ভাগ কোন রাজ্যে পড়ছে তাও লেখা রয়েছে সেখানে। এখানে বসে অনেকেই ছবি তুলে নিয়ে যান।