দেশী আলুভাজা আপনি যতই মনের আনন্দে হাত দিয়ে খান না কেন। রেস্টুরেন্টে গিয়ে বিদেশী আলু ভাজা খেতে গেলে এই আদব কায়দা না মানলেই নয়। তা শুধু ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস কেন যে কোনও ফিঙ্গার ফুড, মানে সেই সব খাবার যেগুলির জন্য কাটলারি বা কাঁটা চামচের প্রয়োজন হয় না । তা আপনি টেবিল ম্যানারসে যতই পারদর্শী হোন না কেন। ফিঙ্গার ফুড খাওয়ার এই নিয়মগুলি না জানলে পাঁচজনের মধ্যে বিব্রত হতে পারেন।
ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস হোক, ক্র্যাকারস, পিত্জা কিংবা বার্গার এই প্রত্যেকটি খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলি মেনে চলুন।
রেস্টুরেন্টে ফিঙ্গার ফুড খাওয়ার সময় ন্যাপকিন আপনার প্লেটের পাশেই রাখুন। এটা আপনাকে ফিঙ্গার ফুড হাত দিয়ে খেতে সাহায্য করবে। একইসঙ্গে খাওয়ার সময় গুঁড়ো এদিকে ওদিক ছড়িয়ে পড়বে না।
যদি ফিঙ্গার ফুড স্কিউয়ার্স বা স্টিক লাগিয়ে সার্ভ করা হয়। তাহলে এই ক্ষেত্রে খাবারকে স্পর্শ না করে বরং স্টিক বা স্কিউয়ার্সের সাহায্যে খান।
আপনি কাটা চামচে ইলিশ মাছ ভাত পর্যন্ত অনায়াসে খেয়ে নিতে পারেন। তাই বলে দয়া করে পিত্জা বা বার্গার খাবার সময় এগুলির প্রয়োগ না করলেই ভাল। এটা দৃষ্টিকটু হবে। একইভাবে পিত্জা জাতীয় ফিঙ্গার ফুড খাওয়ার সময় একটু সচেতন থাকুন যাতে টপিং ছড়িয়ে না যায়। কিংবা প্লেট থেকে স্লাইস মুখে তোলার সময় টপিং ছড়িয়ে আপনার জামাকাপড়ে যাতে না পড়ে। পিত্জার স্লাইসে সোজাসুজি কামড় দিন দেখবেন ফিলিংগুলো এদিক ওদিক দিয়ে বেড়িয়ে যাবে না।
আর হ্যাঁ, আপনার পছন্দের খাবারের ব্র্যান্ড আপনাকে যতই আঙুল চেটেপুটে খাওয়ার প্রলোভন দেখাক না কেন। আপনি সেই ফাঁদে পুরোপুরি পা দেবেন না। অর্থাত্ খাবার টা খাবেন তবে জনসমক্ষে আঙুলে চেটেপুটে খাওয়া! প্রশ্নই ওঠে না।