প্রায় প্রত্যেকদিন এই অবস্থা ঘুমের অপেক্ষায় জেগে থাকেন রাত দুটো কিংবা তিনটে পর্যন্ত। এদিকে দিনের পর দিন এ রকম চলতে থাকায় তার প্রভাব পড়ছে রোজকার জীবনযাপনে। শরীর ও মন চাঙ্গা রাখতে পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই এই সমস্যায় নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় যোগ করতে পারেন এই সব সুপরাফুড। যে সব খাবারে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর উপাদান থাকে সেগুলিকে সুপারফুডের অ্যাখা দেওয়া হয়। এমনই বেশ কিছু সুপারফুড নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় রাখলে সহজেই মিটতে পারবে অনিদ্রার সমস্যা-
সুপারফুড হিসেবে কিউয়ি খুবই জনপ্রিয় কারণ কিউয়ি খেলে শরীরে নি:সরণ হয় হ্যাপি হরমোনস। কিউয়িতে প্রচুর পরিমাণে সেরোটোনিন রয়েছে যা মেলাটোনিন নামক হরমোনের উত্পাদনে সাহায্য করে। এই মেলাটোনিন ভাল ঘুমের জন্য খুবই কার্যকরী।
কুমড়োর বিজে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর উপাদান থাকে। বিশেষ করে এতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। এই খনিজ উপাদান ভাল ঘুমের জন্য খুবই কার্যকরী।
গাটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ইয়গহার্টের জুড়ি মেলা ভাল। গাটের স্বাস্থ্য খারাপ থাকলে তা ঘুমেও ব্যঘাত ঘটায়। তাই গাটের স্বাস্থ্য ভাল থাকলে ইয়গহার্ট বেশ কাজের। এছাড়া ইয়গহার্টে রয়েছে ভিটামিন বি১২, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ইত্যাদি। এই সব উপাদান ভাল ঘুমের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
সুপারফুড হিসেবে মাশরুমের তেমন জনপ্রিয়তা না থাকলেও পুষ্টিকর উপাদানের খনি এই সুপারফুড। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ও মিনারেল। এই উপাদানগুলি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে দারুণ কার্যকরী। একইসঙ্গে ক্যার্ডিওভ্যাসকুলার ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে। আর শরীরের এই দু’টি কার্যক্ষমতার গভীর ভাবে ঘুম প্রভাবিত করে।
টোম্যাটোতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লাইকোপিন থাকে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভাল ঘুমের জন্য খুবই উপকারী। এর ফলে হার্টও ভাল থাকে। হার্টের সমস্যা থাকলে তার প্রভাব পড়ে ঘুমের ওপর।
ব্রোকোলি একদিকে যেমন লো-ক্যালোরি তেমনই এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর ও ফাইবার। ব্রোকোলি রাপিড আই মুভমেন্ট বাড়িয়ে তোলে। এই রাপিড আই মুভমেন্ট বেশি হলে ঘুম হয় আরও ভাল।
মাছ বিশেষ করে স্যামনে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এই প্রোটিন শরীরের একাধিক অঙ্গ-প্রতঙ্গের জন্য বেশ উপকারী। আর শরীরের এই সব অঙ্গ ভাল কাজ করলে ঘুমও হয় ভাল। ঘুমের ব্যাঘাত বা ঘুমের অভাব কোনওটারই সমস্যা হয় না।