গরমকাল মানেই পেটের সমস্যা।তাপমাত্রার পারদ দিন দিন যত চড়বে তত প্রভাবিত হবে শরীরের হজম ক্ষমতা।গরম বাড়লে পাচনতন্ত্রের গতি স্লথ হয়ে যায়।সেখান থেকেই হজম সংক্রান্ত নানান জটিলতার সৃষ্টি হয়।বদহজম, খাদ্যে বিষক্রিয়া, খিদে মরে যাওয়ার মত একাধিক সমস্যা দেখা যায়। এই সব সমস্যার দ্রুত নিষ্পত্তি না হলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় কয়েকগুন।
ডায়রিয়া (diarrhea) তিন রকমের হয়-
অ্যাকিউট ডায়রিয়া (acute diarrhea)– খাদ্যে বিষক্রিয়া কিংবা গ্যাস্ট্রোএনট্রাইটিসের সমস্যা। এক্ষেত্রে পেট খারাপ, পেট খামচে ধরা,গা গোলানো, বমি ভাব ও জ্বর আসে।
পার্সিসট্যান্ট ডায়রিয়া (persistent diarrhea)– এক্ষেত্রে অ্যাকিউট ডায়রিয়ার সমস্যাগুলো প্রায় ২ থেকে ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত থাকে।
ক্রনিক ডায়রিয়া (chronic diarrhea)– এক্ষেত্রে ডায়রিয়ার এই সব সমস্যা প্রায় ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত থাকে।একাধিক কারণে পাচনতন্ত্রের ক্ষতিগ্রস্ত হলে এই সব সমস্যার সৃষ্টি হয়।
তাই গরমকালে শরীর সুস্থ রাখতে ও ডায়রিয়ার মতো পরিস্থিতি এড়াতে এই সব ঘরোয়া টোটকাগুলি কাজে লাগান এই ভাবে-
আদা চা (ginger tea)
ঘরোয়া পদ্ধতিতে শরীর সুস্থ রাখতে আদা ভীষণ উপকারী।এটা অন্ত্রকে সুস্থ করে তোল, হজমে সাহায্য করে ও পেট খারাপ সারিয়ে তোলে। এই আদা চা দিনে অন্তত ২ থেকে ৩ বার খেতে পারেন।
ধনেপাতা ও পাতিলেবুর জল (coriander leaf & lemon water)
পাতিলেবুর অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি কার্যকারিতা রয়েছে আর ধনেপাতার পাতায় বিশেষ তেল থাকে যা পেটকে আরাম দেয়।
পুদিনা পাতা ও পাতিলেবুর জল (mint & lemon water)
পাতিলেবুর অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি কার্যকারিতা যেমন রয়েছে তেমন পুদিনা পাতারও অ্যান্টি ভাইরাল ও অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল কার্যকারিতা রয়েছে যা ডাইজেসটিভ জুসের প্রবাহ বাড়িয়ে তোলে এবং হজমে সাহায্য করে।
বেদানা (pomegranate)
পেট খারাপে দারুণ ভাল কাজ করে বেদানা। ফল ছাড়াও বেদানার পাতাও পাতলা পায়খানার সমস্যা সারিয়ে তোলে।
জোয়ান ও জল খান (ajwain & water)
জোয়ান খাবার হজমে সাহায্য করে পেট ফোলা এবং পেট ফাঁপা কম করে।
পাতিলেবু ও নুন (lemon & salt)
পুদিনা পাতার পাশাপাশি পাতিলেবু ও নুন খেলেও পাতলা পায়খানার সমস্যা কম করা যায়।
তবে এই সব ঘরোয়া টোটকার পাশাপাশি চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না। অন্যদিকে এই গরমে যাতে হজমের সমস্যা না হয় তার জন্য অতিরিক্ত তেল মশলা যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। বাইরে কেটে রাখা ফল খাবেন না। বাসী খাবার এড়িয়ে চলুন। পরিমিত এবং হালকা খাবার খান।
(ছবি সৌ:Unsplash)