ফলের রাজা বলে কথা! আমের প্রেমে হাবুডুবু খায় না এমন মানুষ মেলা ভার। এই আমের প্রেমে হাবুডুবু খেয়েই তো বিখ্যাত ফার্সি কবি মির্জা গালিব লিখেছিলেন ঈশ্বর নিজের বাগান থেকে মর্তে এগুলিকে পাঠিয়েছে। একইভাবে আমের প্রেমে মজে ছিলেন কবিগুরু। তবে আম কেটে খাওয়া তিনি পছন্দ করতেন না। ভালবাসতেন আম চুষে খেতে। তাঁর কথা মেনে আমসত্ত্ব দুধে ফেলে, কলা দিয়ে সন্দেশ দিয়ে মেখে খায়নি এমন বাঙালীও মেলা ভার। তা এত ভালবাসা যাকে নিয়ে তাঁকে একটা গোটা দিন না দিলে হয়। তবে শুধু যে স্বাদেই রাজা তা তো নয় ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ ও ফাইবারে ভর্তি আমের উপকারিতাও কিছু কম নয়। আম নিয়ে এমনি অনেক জানা অজানা তথ্য রইল আপনাদের জন্য।
১.আজ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে ভারতে এসেছিল আম।
২. প্রায় ৩০০-৪০০ খ্রিস্টাব্দে এশিয়া মহাদশ থেকে মধ্যপ্রাচ্য ও পূর্ব আফ্রিকায় ও দক্ষিণ অ্যামেরিকায় পৌঁছায় আম।
৩. কাজু ও পিস্তাবাদামের সঙ্গে নাকি আমের যোগসূত্র রয়েছে।
৪. আম গাছ প্রায় ১০০ফিট উচ্চতা পর্যন্ত বাড়তে পারে। প্রায় ৩০০বছর পরও আম গাছে ফল ধরার ক্ষমতা রাখে। তবে আম গাছে প্রথম ফল আসতে ৪ থেকে ৬ বছর সময় লাগে।
৫. আম উত্পাদনে ভারত যে শীর্ষে তা আমরা জানি সকলেই কিন্তু দেশের মধ্যে আম উত্পাদের শীর্ষে কে জানা আছে? শীর্ষে রয়েছে উত্তর প্রদেশ।
৬. ভারত ছাড়াও পাকিস্তান ও ফিলিপিনসের জাতীয় ফল আম। বাংলাদেশের জাতীয় গাছ আমগাছ।
৭. ভারতে প্রায় ১৫০০ রকমের আম পাওয়া যায়। এর মধ্যে অ্যালফোনসো, কেসর, ল্যাঙরা, চৌসা, বাদামি, সফেদা, তোতাপুরি, নীলম, দশেরী ও হিম সাগর বিশ্বখ্যাত।
৮. স্বাদেতো বটেই স্বাস্থ্যে পক্ষেও আম উপকারী। আমাদের শরীরের ১০০শতাংশ ভিটামিন সি-র চাহিদা মেটাতে পারে একটা গোটা আম। এছাড়া আমের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ ও ভিটামিন বি ও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এগুলি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া ক্যানসার, ক্লোরেস্টোরেল ও চোখের ক্ষেত্রেও আম বেশ উপকারী।
৯. আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই রয়েছে এর ফলে আমের কামোত্তেজক কার্যকারিতা আছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
১০. আমের পাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সহ অন্যন্য প্রাকৃতিক খনিজ পদার্থ রয়েছে যা গল ব্লাডার ও কিডনি স্টোনের ক্ষেত্রে উপকারী। এমনকি শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা ও আমাশয় সারাতে আমপল্লব বেশ কার্যকরী।