পরিবেশ দূষণের কারণে পরিবেশে স্বাভাবিক ভারসাম্য বিনষ্ট হয়। বর্তমানে পরিবেশকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তার মধ্যে রঙিন ডাস্টবিনের ব্যবহার অন্যতম। এটি বিভিন্ন রঙের ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট বাক্স কে বোঝানো হয়, আর প্রত্যেকটি রঙের আলাদা আলাদা মানে রয়েছে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে চিহ্নিত করা হয় কোন বর্জ্যগুলো ফের ব্যাবহার করা যাবে আর কোনগুলোকে বিনষ্ট করে দিতে হবে। এই আলাদা আলাদা রঙ ব্যাবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য আলাদা করতে সুবিধা হয়।
বিভিন্ন রঙের ডাস্টবিনগুলো কী অর্থ নির্দেশ করে জানুন:
কমলা রঙের ডাস্টবিন: হাসপাতালে কোনও সংক্রামক রোগের বর্জ্যের জন্য এই কমলা ব্যবহার করা হয়। এই বর্জ্য অপসারণের ক্ষেত্রে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করা হয়।
হলুদ ডাস্টবিন: বায়োডিগ্রেডেবল বর্জ্য যেমন। সিরিঞ্জ, এক্সপেয়ার্ড ট্যাবলেট, মানুষের শারীরবৃত্তীয় বর্জ্য ফেলতে এই রঙের ডাস্টবিন ব্যাবহার করা হয়। সাধারণত এই ধরনের ডাস্টবিন হাসপাতাল, রাসায়নিক ল্যাব, ক্লিনিক, কারখানাতে ব্যবহৃত হয়।
বেগুনি রঙের ডাস্টবিন: সাইটোটক্সিক অর্থাৎ হাসপাতালে বর্জ্য রাখার জন্য এই রঙের ডাস্টবিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সঠিকভাবে হাসপাতালের বর্জ্য অপসারণের পর পুড়িয়ে ফেলা সম্ভব।
লাল ডাস্টবিন: নন বায়োডিগ্রেডেবল বর্জ্য। যেমন, প্লাস্টিক রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়।
কালো ডোরাবিহীন হলুদ: হাসপাতালে বিপজ্জনক বর্জ্য যেমন: যেকোনো ধরণের কেমিক্যাল জাতীয় দ্রব্য ফেলতে এই রঙের ডাস্টবিন ব্যাবহার করা হয়।
সবুজ ডাস্টবিন: ফের ব্যবহার করা যাবে এমন বর্জ্যের জন্য। এগুলো সাধারণত রান্না ঘরের জন্য।
বাদামি ডাস্টবিন: বাগান বর্জ্য। যেমন, ঘাস শুকনো পাতা রাখার জন্য।