শীতকাল মানেই ছুটির দিনে রোদে বসে আয়েস করে কমলালেবু খাওয়া। এক দিকে কমলালেবুর টক মিষ্টি স্বাদ অন্যদিকে আবার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে কমলালেবুর জবাব নেই। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। তাই স্বাস্থ্য ভাল থাকার পাশপাশি ত্বকের পরিচর্যাতেও কমলালেবুর জবাব নেই। আবার শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতেও বেশ উপকারী এই কমলালেবু। তবে কমলালবুর এত গুন বলেই যে একেবারে চোখ বন্ধ করে এই ফল খুশি মত খাওয়া যাবে তা কিন্তু নয়।
পুষ্টিতে ভরা ১০০ কমলালেবুতে থাকে ০.৯ গ্রাম প্রোটিন,১১.৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৯.৪ গ্রাম চিনি, ২.৪ গ্রাম ফাইবার, ৪৭ গ্রাম ক্যালোরি ও ৮৭ গ্রাম জল এবং প্রত্যেকদিন প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-র প্রায় ৭৬শতাংশ। পুষ্টিতে ঠাসা কমলালেবু তাই স্বাস্থ্যের পক্ষে নিঃসন্দেহে ভীষণ উপকারী তবে মাত্রাতিরিক্ত খেলে সমস্যা হতে পারে। কেন? জেনে নিন-
কমলালেবু বেশি খেলে কি কি হতে পারে
দিনে একটা বা দুটোর পরিবর্তে আপনি ৪ থেকে ৫টা কমলালেবু খান তাহলে আপনার শরীরে ফাইবারের মাত্রা বেড়ে যাবে। এর ফলে পেটে ব্যাথা, পেট কামড়ানো, ডায়রিয়া, পেট ফোলা কিংবা বমিও হতে পারে। একই ভাবে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি মাত্রায় ভিটামিন সি খেলে বুক জ্বালা, বমি, ঘুমের অভাব এমনকি হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানা গেছে।
তাহলে দিনে কটা করে কমলালেবু খাওয়া উচিত?
দিনে ১ থেকে ২টো কমলালবু খাওয়া যেতে পারে। তবে যারা গ্যাস্ট্রোএসোফেগাল রিফ্লাক্স ডিজিসে ভোগেন তারা কমলালেবু খাওয়ার আগে চিকিত্সকরে পরামর্শ নিয়ে তবে খান। কারণ কমলালেবু অ্যাসিডযুক্ত তাই এটা খেলে বুক জ্বালা কিংবা বমি হতে পারে। আবার যাদের শরীরে পোটাশিয়ামের লেভেল বেশি তাদের কমলালেবু খাওয়া উচিত নয়। যদিও কমলালেবুর তে পোটেশিয়ামের মাত্রা খুব কমই থাকে তবে যে খাচ্ছে তার শরীরে যদি মাত্রা বেশি থাকে সেক্ষেত্রে যে খাবে তার হাইপারেক্যালেমিয়ার সমস্যা হতে পারে।