অল্প বয়সেই অনেক শিশুর মৃত্যু হয় পুষ্টির অভাবে। কিন্তু যে শিশু পুষ্টির অভাবে ভোগে না, তাদের মধ্যেও কিছু রোগের জটিলতা দেখা দিতে পারে। আর সেই জটিলতাই কেড়ে নিতে পারে প্রাণ। কিছু ক্ষেত্রে শিশুদের অস্বাভাবিক ও হঠাৎ মৃত্যুও হতে পারে। সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির গ্রসম্যান স্কুল অব মেডিসিনে গবেষণায় একটি বিশেষ ধরনের রোগের কথা জানতে পেরেছে।
শিশুদের হঠাৎ মৃত্যুর পিছনে খিঁচুনির রোগের বড় ভূমিকা আছে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, খিঁচুনি রোগের কিছুক্ষণ পরেই শিশুর হার্ট বিকল হয়ে যাচ্ছে। গবেষণার স্বার্থে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩০০০ পরিবার থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। বেশিরভাগ শিশুরাই এক বছরের কম বয়সে মারা গিয়েছে। মৃত্যুর কারণ ছিল সাডেন ইনফ্যান্ট ডেথ সিনড্রোম। অন্যদিকে ৪০০ পরিবারে শিশুমৃত্যু হয়েছে এক বছরের বেশি বয়সে। তাদের মৃত্যুর কারণ চিকিৎসার পরিভাষায় সাডেন আনেক্সপেক্টেড ডেথ ইন চিলড্রেন। এই শিশুদের যাবতীয় মেডিকাল রেকর্ড ও ভিডিয়ো এভিডেন্স পরিবারের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল। দেখা গিয়েছে, মৃত্যুর কমবেশি ৩০ মিনিট আগে শিশুদের খিঁচুনি রোগ হচ্ছে।
আরও পড়ুন, কিডনি স্টোন এড়ানোর বিশেষ পদ্ধতি জানুন
শিশুদের এই খিঁচুনি রোগ ৬০ সেকেন্ডের বেশি স্থায়ী হচ্ছে না। কিন্তু ওটুকুরই ফল মারাত্মক। আগেও শিশুদের হঠাৎ মৃত্যুর সঙ্গে খিঁচুনি রোগের যোগসূত্র পেয়েছে বিভিন্ন গবেষণা। তবে এই পরীক্ষায় আরও বড় আকারে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তাতেই দেখা গেল, ফেবরাইল খিঁচুনির (Febrile Seizures) সঙ্গে মৃত্যুর যোগসূত্র রয়েছে।
গবেষকদের কথায়, হঠাৎ মৃত্যু হয়নি এমন শিশুদের তুলনায় হঠাৎ মৃত্যু হয়েছে এমন শিশুদের ১০ গুণ বেশি খিঁচুনি হয়েছে। যা হঠাৎ মৃত্যুর পিছনে খিঁচুনির তত্ত্বকে উস্কে দিচ্ছে। এর আগেও নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির ল্যাঙ্গন হেলথের রিপোর্টে এক-তৃতীয়াংশ রোগীর এভাবে মৃত্যু হতে দেখা গিয়েছে।
আরও অন্য খবর দেখুন