বাড়ি বা বাড়ির বাইরে নিজের অজান্তেই কখন সবার মাঝে মাথা চুলকাতে শুরু করেন। আর হাত একবার মাথায় গেলে অল্পেতে যেন সাধ মেটে না। বাড়িতে তাও এক রকম কিন্তু বাড়ির বাইরে বিষয়টি যে বেশ দৃষ্টিকটু তা বলার অপেক্ষা রাখে না। শীতকাল এলেই আপনার এই অবস্থা, থেকে থেকে মাথায় এমন ভাবে চুলকায় যে হাত নিয়ন্ত্রণে থাকে না। কিন্তু এখন শীত চলে গেলেও মাথার ত্বকের এই সমস্যা রয়ে গেছে।
শীতকালে মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে মাথায় ফুঁসকুড়ি, খুসকি ও চুলকানির সমস্যা হয়। অনেক সময় বেশি ঠান্ডায় ঠিকমতো মাথা ধোওয়ার অভাবে আবার প্রচন্ড শীতে মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণত ঠান্ডা কমার সঙ্গেই এই সমস্যা কমে যায় কিন্তু চুল আঁচড়াতে গিয়ে ফুঁসকুড়ি তে লেগে একেবারে যা তা অবস্থায় হয়। ব্যথা তো বটেই আবার মাথার এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে বিষয়টি হালকা ভাবে নেবেন না ডার্মেটোলজিস্টের পরামর্শ নিন। ঘন ঘন এই ফুঁসকুড়ি বাড়াতে পারে চুলের নানা রকম সমস্যা। অনেক সময় মাথার ত্বকে ব্যক্টেরিয়া, ফাঙ্গাল ইনফেকশন কিংবা অনিয়মিত জীবনযাপনের কারনেও এই সমস্যা হতে পারে। তবে এই বিষয়গুলো মেনে চললে মাথায় ফুঁসকুড়ি, জ্বালা, খুশকি সহ চুলের অন্যান্য সমস্যার তীব্রতা অনেকটাই কমিয়ে আনা যাবে।
ফুঁসকুড়ি খুটবেন না
যেভাবে মুখে ব্রণ বা ফুঁসকুড়ি হলে চুলকায় বা জ্বালা করে মাথার ত্বকেও ঠিক এ রকমই হয়। তাই মুখের মতই মাথার ব্রন বা ফুঁসকুড়ি ভুলেও নখ দিয়ে খুটবেন না। চুল আচড়ানোর সময় যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করবেন। না হলেই বিপদ, ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমন যদি হয় তা হলে মাথার বাদবাকি অংশেও এটা ছড়িয়ে পড়বে। চুলের ক্ষতি হবে চুল পড়া বেড়ে যাবে।
মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখুন
সপ্তাহে অন্তত দুবার মাথায় শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করুন যাতে তেল ময়লা জমে থাকতে না পারে। যদি জিম যান কিংবা আবার মাথার ত্বক তৈলাক্ত তাহলে সপ্তাহে অন্তত তিন বার শ্যাম্পু করুন। এ ক্ষেত্রে অ্যাক্টিভেটেজ চারকোল, ওটমিল ও অ্যালোভেরা যুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন এবং ভাল করে মাথা ডলে ফেনা করে ধুয়ে নিন। হালকা গরম জলে মাথা ও চুল ধুয়ে নিন।
খুশকি নিয়ন্ত্রণে রাখুন এভাবে
মাথায় খুব বেশি খুশকি হলে অতিরিক্ত চিনি খাওয়া কমিয়ে দিয়ে দেখুন। ত্বক যাতে অতিরিক্ত শুষক কিংবা তৈলাক্ত কোনওটাই না হয় তার জন্য টি ট্রি অয়েল, অ্যাপেল সিডার ভিনেগার, আমলকি কিংবা মেথি ব্যবহার করতে পারেন। উপকরণ হিসেবে এগুলি রয়েছেন এমন সামগ্রী বাছতে পারেন আবার ঘরোয়া পদ্ধতিতে এগুলি দিয়ে চুলের পরিচর্যা করতে পারেন।
হেয়ার কালার বা হেয়ার স্পা এড়িয়ে যাওয়াই ভাল
এর পাশাপাশি এরকম সমস্যা থাকেলে চুলে কড়া রাসায়নিক যেমন হেয়ার কালার, হেয়ার স্পা এমনকি গরম তেলের মালিশ না করাই ভাল। এই কাজগুলো অ্যাকনের সমস্যা আরও কয়েকগুন বাড়িয়ে দিতে পারে।
প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি DIY হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন
প্রাকৃতিক উপকরণে তৈরি ঘরোয়া হেয়ার মাস্ক দিয়ে মাথার ত্বকের এক্সফোলিয়েশন করতে পারেন। এতে ত্বকের মৃতকোষ উঠে যাবে। এর ফলে এই প্রাকৃতিক উপাদানে থাকা পুষ্টিকর পদার্থ সহজে মাথার ত্বকের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে এবং চুল পর্যান্ত আর্দ্রতা পাবে। অ্যালোভেরা, ওটমিল, কফি কিংবা কলা দিয়ে সপ্তাহে অন্তত একবার মাথা পরিষ্কার করতে পারেন।
(ছবি সৌ: Unsplash)