ওয়েব ডেস্ক: প্রচণ্ড দাবদাহে (Summer) যখন মানুষ তৃষ্ণায় কাহিল, তখন আশপাশের গাছের ডালে কিংবা বাড়ির বারান্দার খাঁজে আশ্রয় নেওয়া ছোট ছোট পাখিরাও ততটাই কষ্টে থাকে। তীব্র গরমে চারপাশ যেন একেকটা জ্বলন্ত উনুন, আর সেই উত্তাপে শুধু মানুষ নয়, প্রাণীকুলও ভীষণভাবে নাজেহাল হয়ে পড়ে। প্রখর রোদের তাপে জলশূন্য হয়ে পড়ে পরিবেশ, আর সেই অভাবে বহু পাখি ও পশু চুপিসারে প্রাণ হারায়।
আমরা মানুষ হিসেবে গ্রীষ্মের প্রতিকারে এসি, ফ্যান কিংবা ঠান্ডা পানীয়ের সুবিধা পেলেও, সেই একই দাবদাহে পাখি-পশুর জীবনে থাকে না কোনও স্বস্তি। তাদের সাহায্য করা এই সময়ে আমাদের কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায়। শুধু একটি ছোট পদক্ষেপেই তাদের অনেকটা স্বস্তি দিতে পারি আমরা।
আরও পড়ুন: বাজেট মাত্র ৫০০০ টাকা! কলকাতার কাছেই এই ৭টি জায়গায় আসুন সপরিবারে
আপনার ছাদ, বারান্দা বা জানালার পাশে একটি মাটির বা স্টিলের পাত্রে জল রেখে দিন। খুব গভীর নয়, এমন পাত্র ব্যবহার করুন যাতে ছোট পাখিরা পাত্রের কানায় বসে সহজেই জল খেতে পারে। রোজ দুপুরে এই জল কতটা উপকার করে, তা দেখলে মন ভরে যাবে। আর বাড়ির বাইরে, গেটের পাশে বা পাড়ার রাস্তায় একটিও জলভরা পাত্র রাখলে পথের কুকুর, বিড়ালও জলপান করতে পারবে।
শুধু জল নয়, চাই একটু আশ্রয়ও। এই গরমে পাখিদের পক্ষে বাসা বানানো খুবই কষ্টকর। আপনি চাইলে বারান্দা বা গাছের ডালে ছোট্ট পাখির বাসা বানিয়ে দিতে পারেন। আজকাল অনলাইনেও সুন্দর সব পাখির বাসা কিনতে পাওয়া যায়, সেগুলো ঝুলিয়ে রাখলে পাখিরা নিরাপদে আশ্রয় পায়।
এছাড়াও, পথের পশুদের জন্য খাবারের বন্দোবস্ত করতে পারেন। দই-ভাত, জলে ভেজানো রুটি, সেদ্ধ ডিম কিংবা বিস্কুট কুকুরদের দিন। গরুদের জন্য কলা বা তরমুজের খোসাও খুব উপকারী। খাওয়ানোর সময় বেছে নিন ভোরবেলা বা সন্ধ্যাবেলা, যখন তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকে। এতে তাদের শরীর ঠান্ডা থাকে এবং তারা কিছুটা স্বস্তি পায়।
এই গ্রীষ্মে আপনার একটু সহানুভূতি আর ছোট্ট কিছু উদ্যোগই পাখি-পশুদের কাছে হয়ে উঠতে পারে পরম আশীর্বাদ। তাদের জন্য একটা জলভরা পাত্র বা একটু খাবার—এই গরমে তাদের জীবনের আশ্রয় হয়ে উঠুক আপনার সৌজন্যে।
দেখুন আরও খবর: