রোদে পুড়ে কিংবা কোন শারীরিক সমস্যা, নানা কারনে পিগমেনটেশন (pigmentation) দেখা দেয় ত্বকে। এই সমস্যা সাধারণ হলেও বলা বাহুল্য নিমেষে স্লান করে সৌন্দর্য্য। শুধু মুখে নয় শরীরের যে কোনও অংশে হতে পারে এই পিগমেনটেশন। স্বাভাবিক ভাবেই বিব্রত করে ত্বকের আচমকা এই পরিবর্তন। ঠিক যেমন বাহুমূলে পিগমেন্টেশন হলে সমস্যা আরও বাড়ে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে এই পিগমেন্টেশনের সমস্যা হলে তা সারতেও দেরি হয়। ত্বকের রঙ গাঢ় হয়ে যাওয়া কিংবা কালো ছোপ পড়া, এই রঙয়ের পরিবর্তন হল পিগমেন্টেশন। তবে সময় মতো ব্যবস্থা নিলে পিগমেনটেশনের হাত থেকে সহজেই রেহাই পাওয়া যাবে।
তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে বাহুমূলে এই কালো দাগ ছোপ (dark underarms) নিয়ে একটি পোস্টে ডাঃ সু জানিয়েছেন বেশি পরিমানে ত্বকে থাকা মেলানিন (melanin) বা মেলানোসাইটস(melanocytes) নিঃস্বরণের ফলে এভাবে বাহুমূলের রং পরিবর্তন হয়ে কালো হয়ে যায়(dark underarms)।
View this post on Instagram
কিছু ডিওডোরেন্টের(deodorants) ব্যবহারে কিংবা আবার হরমোনাল ইমব্যালেন্সের(hormonal imbalance) কারণে এই বাহুমূলের রং পরিবর্তন হতে পারে।
নানা রকমের হেয়ার রিমুভ্যাল(hair removal) পদ্ধতি যেমন শেভিং, প্লাক করা কিংবা ওয়্যাক্সিংয়ের(waxing) কারণে কালো হয় যায় বাহুমূলে। কারণ, ত্বকের যে অংশ এই শেভিং(shaving) বা ওয়াক্সিং(waxing) করা হচ্ছে সেগুলোকে ক্ষতস্থান মনে করে বেশি করে মেলানিন নিঃসরণ শুরু করে শরীর। এর ফলস্বরূপ কালো হয়ে যায় ত্বকের ওই অংশ।
View this post on Instagram
তবে এগুলোই একমাত্র কারণ নয়। এক্সফোলিয়েশনের(exfoliation) অভাবেও পিগমেন্টেশন হতে পারে। এছাড়া ইনসুলিনের প্রতিরোধ(insulin resistance) করতে কিংবা কোনোও ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া(side effects of medication) হিসেবেও পিগমেন্টেশন হতে পারে।
তবে সমস্যা যেমন আছে তেমন আছে পিগমেন্টেশন(pigmentation) নিয়ন্ত্রণ ও সমাধানের উপায়। যেমন-
ডিওডোরেন্টে (deodorants): ডিওডোরেন্টের ব্র্যান্ড বদলাতে পারেন। অ্যান্টি পার্সপিরেন্ট কিংবা সুগন্ধি যুক্তের বদলে ত্বকের জন্য যেটা ভাল সেরকম ব্র্যান্ড বাছুন।
শেভিং(shaving): রেজারের কারনে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে, দেখা দিতে পারে পিগমেন্টেশন তাই রেজার ব্যবহার করার সময় বেশি চাপ দেবেন না।
সানস্ক্রিন(sunscreen): অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। হাত কাটা কিংবা হাতে খোলা জামা পড়লে সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে সানস্ক্রিন আপানার ত্বকের রক্ষা করবে।
ঢিলেঢালা জামা পড়ুন(wear loose clothes): টাইট বা খুব আঁটোশাটো জামাকাপড় পড়লে হাইপারপিগমেন্টেশনের সমস্যা হতে পারে।
ফিটনেস(fitness): সক্রিয় থাকুন। শরীর ফিট রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। মেদ জমলে পিগমেন্টেশনের সমস্যা হয় অনেকের সময়। এক্ষেত্রে ওজন কম করলে বাহুমূলের পিগমেন্টেশনের সমস্যাও কমবে।