গত দু’বছর এমনকি এই বছরের শুরুতেই কোভিড ১৯র ভয় বাইরের খাওয়া দাওয়া প্রায় ভুলতেই বসেছেন। তাই সুযোগ পেয়েই গত দু’মাসে শীতকালে নানা রকম খাবার জমিয়ে উপভোগ করেছেন। বাদ পড়েনি সুগার, সোডিয়াম ও ক্যালোরিযুক্ত খাবার। তাই শীত শেষ হতে না হতেই শরীরের নানা রকমের সমস্য যেমন পেট ফোলা, পেট ব্যাথা, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। তা এই ধরনের সমস্যা যাতে আপনাকে কাবু করতে না পারে তার জন্য সময় মত শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ নিকাশের প্রয়োজন। তাই শরীর সুস্থ রাখতে আপনিও কাজে লাগাতে পারেন এই ডিটক্স পদ্ধতি। কীভাবে করবেন জেনে নিন-
জল ও অন্যান্য ডিটক্স ড্রিংক্স
প্রচুর পরিমানে জল খান। দিনে অন্তত ২ থেকে ৩ লিটার জল খাওয়ার প্রয়োজন। জল খাওয়ার পাশাপাশি লেবু জল ও গ্রিন টি খেতে পারেন। এছাড়া অন্যান্য ডিটক্স ড্রিঙ্কস যেমন অ্যালোভেরা ও লেবু জল, ডুমুর ও কলা দিয়ে স্মুদি বানিয়েও খেতে পারেন।
হালকা খাবার, বেশি করে ফল ও শাক সবজি খান
ঋতু পরিবর্তনের সময় হালকা খাবার খাওয়াই ভাল। তাই এ ক’দিন হালকা খাবার খান। খাবারে তেল, ঝাল মশলা কম দিন। এবং বেশি করে ফল ও শাক সবজি খান। হালকা খাবার সহজে হজম হবে এর ফলে পাচনতন্ত্রে কম চাপ পড়বে, বর্জ্য পদার্থ সহজে নিকাশ হবে। অন্যদিকে ফলমূল ও শাকসবজিতে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই উপাদানগুলি শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ নিকাশে সাহায্য করে।
প্রোবায়োটিক খান
প্রোবায়োটিক হল গুড ব্যাক্টেরিয়া যা গাট মানে গ্যাস্ট্রোইন্টেসটিন্যাল ট্র্যাক্ট ভাল রাখতে সাহায্য করে। এবং পেটের ভিতরে থাকা ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়াকে নষ্ট করে দেয়। তাই নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় ইয়গহার্ট, বাটারমিল্ক, কিমছি ও কেফির খেতে পারেন। গাট হেলথ ভাল থাকবে।
জাঙ্ক ফুড বা প্রোসেস্ড ফুড খাওয়া চলবে না
জাঙ্ক বা প্রোসেস্ড ফু়ড মানেই অতিরিক্ত চিনি, নুন ও অ্যার্টিফিশিয়াল কালার ও ফ্লেভার যুক্ত খাবার। তাই পুজোতে ইতিমধ্যেই ভাজাভুজি ও মিষ্টি প্রচুর খাওয়া হয়েছে। তাই এবার এই খাবারগুলি একেবারে এড়িয়ে চলতে হবে। তাই বাইরের খাবার না খেয়ে বাড়ির খাবার খান।
পর্যাপ্ত ঘুম ও শরীরচর্চা
ঋতু পরিবর্তনে ও এই পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে আমাদের শরীরের কিছু সময় লাগে। তাই এই সময় শরীর সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাই চেষ্টা করুন দিনে অন্তত ৮ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমিয়ে নেওয়ার। পর্যাপ্ত বিশ্রাম পেলে শরীর চাঙ্গা হয়ে উঠেব। শরীরে বর্জ্য পদার্থ নিকাশের যে প্রক্রিয়া তা ভাল হবে। পর্যাপ্ত ঘুমের পাশাপাশি শরীরচর্চার প্রয়োজন, শারীরিক কসরত করুন কিংবা যোগাসন করতে পারেন, সময়ের অভাবে থাকলে অনন্ত ১০ মিনিট ঘড়ি ধরে নিয়মিত হাটুন। এগুলোর ফলে ঘামের মাধ্যমে বর্জ্য পদার্থ শরীর থেকে বেড়িয়ে যাবে।
ডিটক্সের সাহায্যে শরীরে তৈরি হওয়া ক্ষতিকারক রাসায়নিক কিডনি, লিভার, ত্বক ও অন্ত্রের মাধ্যমে নিকাশ করা হয়। এই প্রক্রিয়ার পাশাপাশি ডিটক্সের মাধ্যমে শরীরের রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায় এবং পুষ্টিকর উপাদান শরীরে যায়। এর ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।
(ছবি সৌ: Unsplash)