রূপচর্চা থেকে শুরু করে রান্নাবান্না, ঘরের পরিবেশ স্বাস্থ্যকর রাখা থেকে চিকিত্সা সংক্রান্ত কাজে এসেনশিয়াল অয়েলের ব্যবহার বহুল পরিচিত। তবে কোন তেল কেন ব্যবহার করা সেটা কি আপনার জানা আছে? গাছগাছড়ার বিভিন্ন অংশ যেমন ফুল, পাতা, ফল বা গাছের ছালের নির্যাস হল এই এসেনশিয়াল অয়েল। একাধিক কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে এই তেল। তবে এই নির্যাস তৈরির প্রক্রিয়া সময় এবং খরচসাপেক্ষ দুটোই। তাই কোন একটি কারণে আপনি এই তেল কিনলে সেটি অন্যান্য আর কী কী কাজে লাগতে পারে জেনে রাখা খুবই ভাল।
১. পেপারমিন্ট এসেনশিয়াল অয়েল (Peppermint Essential Oil)
এই তেলের একটা তীক্ষ্ন গন্ধ আছে, এক নিমেষেই শরীর ও মন জুড়িয়ে যায়। শীতল এবং সতেজ হয়ে উঠে মন প্রাণ। তবে এখানেই শেষ নয় পেপারমিন্ট এসেনশিয়াল অয়েল খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স ঠিক রাখতে কাজে লাগে। এছাড়াও যাঁরা ইরিটেহিল বাওয়েল সিন্ড্রমে (IBS)ভোগেন তাঁদের জন্য এই তেল বেশ কার্যকরী।
২. ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল (Lavender Essential Oil)
ল্যাভেন্ডারের সুগন্ধ অধিকাংশ মানুষেরই খুব পছন্দ। বাড়িতে হোক বা গাড়িতে ক্লান্ত দিনের শেষে ল্যাভেন্ডারের এয়ার ফ্রেশনার আমাদের বেশ রিফ্রেশ করে দেয়। তাই অ্যারোমাথেরাপির বিভিন্ন ট্রিটমেন্টে ব্যবহার হয় ওই এই তেল। ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েলকে ক্যারিয়ার অয়েল, যেমন নারকেল তেল, সুইট আমন্ড অয়েল ইত্যাদির সঙ্গে মিশিয়ে খুব ভাল মাসাজ অয়েল তৈরি করা যায়।
৩. টি ট্রি অয়েল (Tea Tree Oil)
টি ট্রি অয়েলের অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গল কার্যকারিতা রয়েছে। তাই যেকোনও ঘা সারাতে এর ব্যবহার করা যায়। এছাড়া মাথায় উকুন ও খুশকির সমস্যার হাতে থেকেও অনেকটা রেহাই মেলে। শ্যাম্পুর সঙ্গে এটা মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া ত্বকে ব্রণর সমস্যায় এটা ব্যবহার করা যায়। একইভাবে পায়ের আঙুলের ফাঁকে জীবাণু সংক্রমনের ক্ষেত্রেও এটা বেশ উপকারী।
৪. ক্যামোমাইল এসেনশিয়াল অয়েল (Chamomile Essential Oil)
আগের তেলগুলির মতোই কোনও একটি কারণে নয়। বরং একাধিক কারণে ব্যবহার করা যেতে পারে ক্যামোমাইল এসেনশিয়াল অয়েল। তবে রূপচর্চায় আর পাঁচটা তেলকে একেবারে পিছনে ফেলে দিতে পারে এই এসেনশিয়াল অয়েল। ত্বকের আর্দ্রতা, ঔজ্জ্বল্য বাড়িয়ে তোলা। ব্রণর উপশম, ত্বকে জ্বালা ও চুলকানি কমানো প্রত্যেক ক্ষেত্রেই এই তেল ভীষণ উপকারী। এছাড়া এই তেলের শীতলতা ভরা মিষ্টি হালকা সুবাস শরীর ও মন এক মুহূর্তে চাঙ্গা করে দেয়।
৫. জ্যাসমিন এসেনশিয়াল অয়েল (Jasmine Essential Oil)
জ্যাসমিনের মন মাতানো সুগন্ধ নিয়ে নতুন করে বলার আর কিছুই নেই। রান্নাবান্না থেকে সুগন্ধি তৈরির ক্ষেত্রে তাই জ্যাসমিন এসেনশিয়াল অয়েলের খুবই চাহিদা। অন্যান্য এসেনশিয়াল অয়েলের তুলনায় আসল জ্যাসমিন অয়েল বেশ দামি। এই কারণে বাজারে এই নকল জ্যাসমিন অয়েলের ব্যবসাও রমরমিয়ে চলছে। তাই কেনার সময় সজাগ থাকুন।
৬. ইউক্যালিপটাস এসেনশিয়াল অয়েল (Eucalyptus Essential Oil)
এই এসেনশিয়াল অয়েলের বেশ সুন্দর কড়া একটা গন্ধ আছে। যা বর্ষাকালের স্যাতঁসেতে, ভেজা গন্ধে থেকে রেহাই পেতে অত্যন্ত উপকারী। এছাড়াও সর্দি, হাঁচি নাক জামের মতো সমস্যার হাত থেকে চটজলদি আরাম দেয় ইউক্যালিপটাস এসেনশিয়াল অয়েল।