আজ বিশ্ব সাক্ষরতা দিবস (World Literacy Day)। ১৯৬৫ সালে তেহরানে ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স অফ মিনিস্টার অফ এডুকেশনে প্রস্তাবিত হয় এটি। এরপর পরের বছর ২৬শে অক্টোবর বিশ্বস্তরে সাক্ষরতা দিবস উদযাপনের সম্মতি দেয় ইউনাইটেড নেশন এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক ও কালচারাল অর্গানাইজেশন, ইউনেস্কো (UNESCO)।এরপর থেকেই সাক্ষর সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রত্যেক বছর ৮ই সেপ্টেম্বর ওয়ার্ল্ড লিটারেসি ডে উদযাপন করেন বিশ্ববাসী।রয়েছে জাতি, বর্ণ, ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের কাছে শিক্ষা পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার৷
প্যানডেমিকের (Pandemic)কথা মাথায় রেখে এ বারের থিম ‘Literacy for a human-centered recovery: Narrowing the digital divide’ । কোভিড আমাদের একধাক্কায় অনেকটাই রিয়েল ওয়ার্ল্ড থেকে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের (digital world) দিকে ঠেলে দিয়েছে। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে এই পাড়ি দেওয়াটা খুব একটা সহজ ছিল না। ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন জন্ম দিয়েছে ডিজিটাল ডিভাইড। প্রযুক্তির অভাবে শহর ও গ্রামের মধ্যে ব্যবধান আরও বিস্তৃত হয়েছে। তাই এ বারের লক্ষ্যে এই ডিজিটাইজেশেনের যুগে কীভাবে এই ব্যবধান সঙ্কুচিত করা যায়।
তবে শুধু মাত্র ডিজিটাল স্কিলই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন ডিজিটাল লিটারেসির (Digital Literacy)। অনেকেই এই দুটো বিষয় এক করে ফেলেন এর ফলে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। জেনে নিন এই দুটোর মধ্যে পার্থক্যটা ঠিক কী-
ডিজিটাল লিটারেসি ও ডিজিটাল স্কিল
আপনি ডিজিট্যালি স্কিল্ড (digitally skilled) হলে প্রয়োজনে ইমেল অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করতে পারবেন। সেটা করতে যেভাবে ধাপে ধাপে এগোতে হয় আপনি সেটা জানেন। কিন্তু এই ইমেলে যদি কোনও স্প্যাম মেল আসে, তা হলে ঠিক কী করতে হয় তা আপনি জানেন না। এই স্পাম মেল কী বা কেন পাঠানো হয় এবং কীভাবে বিভিন্ন ফিল্টারের ব্যবহার করে আপনি এই স্পাম মেল আটকাবেন বা চিহ্নিত করতে পারেন তার জন্য প্রয়োজন ডিজিটাল লিটারেসি।
ডিডিটাল স্কিল আপনাকে ফেসবুক ব্যবহার করতে শেখাবে। আর ডিজিটাল লিটারেসি আপনাকে শেখাবে কীভাবে ব্যক্তিগত কারণে কিংবা পেশার কারণে ফেসবুক ব্যবহার করবেন আপনি।
সহজ ভাষায় ডিজিটাল স্কিল থাকলে আপনি এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবেন। আর ডিজিটাল লিটারেসি আপনাকে এই প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার শেখাবে।
ডিজিটালাইজেশনের যুগে ডিজিটাল লিটারেসি ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ জেনে নিন-
এই যুগের সব থেকে বড় প্রাপ্তি হল বিশ্বের এক প্রান্তে বসে আর এক প্রান্তে থাকা প্রিয় মানুষ, পরিবার-পরিজনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা। সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমেই যেভাবে হারানো বন্ধুকে খুঁজে পেয়েছেন, প্যান্ডেমিক পরিস্থিতিতে কীভাবে অসহায় অবস্থায় সোশাল মিডিয়ায় আপনার সাহায্যের কাতর আবেদন রক্ষা করতে মুহূর্তে ছুটে এসেছে মানুষ তা নিঃসন্দেহে অভাবনীয়।
ফেক নিউজের ভিড়ে ডিজিটাল লিটারেসি আমাদের সঠিক খবর বা তথ্য যাচাই করতে শেখায়।
একই ভাবে ডিজিটাল লিটারেসির কারণে আমরা এই ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডে বিভিন্ন স্ক্যাম বা ঝুঁকি এড়িয়ে যেতে সাহায্য করে। একইসঙ্গে অন্যান্য নেটাগরিকদের সতর্ক করতে সাহায্য করে।