কোভিডকালে নতুন করে ফের একবার পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে সচেতন হয়েছেন সবাই। শরীর সুস্থ রাখতে নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় নানা রঙয়ের সবজি রাখা যে কতটা প্রয়োজনীয় তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই নিত্যটদিনের খাদ্যতালিকা থেকে রকমারি সবজি বাদ যাওয়া মানেই প্রয়োজনীয় পুষ্টি বাদ পড়া। এদিকে রুটি বা ভাতের সঙ্গে রোজ নিত্য নতুন পদ রান্না করাও সময় সাপেক্ষ। আবার এক ঘেয়ে রান্না হলে বাড়ির কচি কাচাদের মন ভুলিয়ে খাওয়ানো বেশ কঠিন। তবে এই কাজ সহজ করতে তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করেন পুষ্টিবিদ পুজা মখিজা। কীভাবে নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় রকমারি সবজি ব্যবহার করবেন আবার খেতে একঘেয়েও লাগবে না তাঁর পোস্টে রয়েছে সেই উপায়। যেমন-
ভেজিটেবিল জুস করে খেতে পারেন
আপনার পছন্দের যে কোনও তিনটি রকমারি সবজি বাছুন এবং জুস করে নিন। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে এটা দারুণ উপকারী। সবজিগুলো চোখে না দেখেও সবজির পুষ্টি যাবে শরীরে।
ভেজিটেবিল সুপ করে খেতে পারেন
কাঁচা বা জুস খেতে ভাল না লাগলে সুপ করে খান। স্বাদ বাড়াতে এতে যোগ করতে পারেন সামান্য কিছু মশলা কিংবা হার্বস। এতে যেমন স্বাদ বাড়বে তেমন বাড়বে পুষ্টি।
রকমারি সবজি দিয়ে পরোটা বানিয়ে খেতে পারেন
গরমকালে সুপ খেতে তেমন মন না চাইলে রকমারি সবজি দিয়ে পরোটা বানিয়ে পরিবাররে সকলেকে চমকে দিতে পারেন। বিশেষ করে ব্রেকফাস্টে পছন্দের সবজি কুচিয়ে কিংবা সেদ্ধ করে আটা বা ময়দা দিয়ে মেখে নিন। পরোটা খেতেও হবে দারুণ, পেটও ভরে থাকবে দীর্ঘক্ষণ আবার প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে শরীর।
পিৎজা বানিয়ে খেতে পারেন
গাজর কিংবা পালং শাকের মতো তিন চার রকমের শাক সবজি নিয়ে ভাল করে অন্তত ২ টেবিলচামচ রাগি বা আটার সঙ্গে ভাল করে মেখে নিন। এবার এটা দিয়ে পিৎজা বেস বানিয়ে নিন এবং টপিং হিসেবে ম্যারিনা সস বা পিৎজা সস বা চিজ ব্যবহার করতে পারেন। বাড়ির কচি কাচাদের শাক সবজি খাওয়ানোর এটা দুর্দান্ত একটা উপায়।