ডিম সিদ্ধ করে কিংবা ডিমের পোচ বানিয়ে, ব্রেকফাস্টে অন্তত একটা করে ডিম না খেলেই নয়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে ডিম ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ এটা এখন কোভিডকালে আমাদের সকলেরই জানা। আর ডিম দিয়ে বানানো যায় এমন পদের ও অভাব নেই ব্রেকফাস্ট থেকে ডেজার্ট সব রকমের খাবারে ডিমের ব্যবহার আরও সুস্বাদু বানিয়ে তোলে প্রত্যেকটি পদকে।
তা আপনি স্ক্রাম্বলড এগ খান কিংবা এগ ভুর্জি কিংবা অমলেট, কী ভাবে ডিম খাচ্ছেন সেটার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আপনার রোজকার খাদ্যতালিকায় ডিম থাকছে কিনা। আবার এটাও ঠিক ডিম কী ভাবে রান্না করে খাচ্ছেন তার ওপর নির্ভর করছে আপনার শরীরে ডিমের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সঠিক মাত্রায় পৌঁছছে কিনা।
ডায়েটিশিয়ান ও নিউট্রিশনিস্ট নমামি অগ্রওয়ালের মতে সানি সাইড আপ প্রিপারেশন হল ডিমের সবরকম পুষ্টি সহজে পাওয়ার সঠিক উপায়।
View this post on Instagram
তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এই নিয়ে একটি পোস্টে নিউট্রশনিস্ট নমামি অগ্রওয়াল জানিয়েছেন ডিমের অধিকাংশ পুষ্টি থাকে ডিমের কুসুমে। আর ডিমের সাদা ও কুসুম এক সঙ্গে খেলে সঠিক মাত্রায় প্রোটিন, ফ্যাট ও ক্যালোরি পাওয়া যায়। শুধু ডিমের সাদা অংশ বা কুসুম খাওয়ার বদলে গোটা ডিম খেলে পেট ও মন দুইয়ে ভরে।
ডিমে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে যেগুলি বয়সকালে চোখের সমস্যায় কাজে দেয়। এছাড়াও ডিমে প্রায় ৯ রকমের অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে। এতে অল্প পরিমানে সবকটি ভিটামিন- যেমন ভিটামিন বি ১২(কোবালামিন), ভিটামিন বি২ (রাইবোফ্লেভিন), ভিটামিন এ ও ভিটামিন বি৫ (প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড) রয়েছে। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রয়োজনীয় মিনারেল যেমন ক্যালসিয়াম, আয়রন, পোটাসিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন ই ও ফোলেট।
পাশাপাশি ডিম ওজন কমাতেও সাহায্য করে। ডিম ভীষণ পুষ্টিকর ও এতে প্রচুর মাত্রায় প্রোটিন থাকায় এটা খেলে তৃপ্তি হয় পেটও দীর্ঘক্ষণ ভরা থাকে।
তাই শরীর সুস্থ রাখতে যেমন প্রত্যেক দিন ডিম খাওয়া উচিত ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ ডিমে থাকা পুষ্টি যাতে শরীরে ঠিকমত পৌছায়।
(ছবি সৌ: Pexels)