শরীর সুস্থ রাখতে হাইড্রেটেড থাকা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। শরীরে পর্যাপ্ত জল থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্য, কিডনি স্টোন, মুত্রাশয়ে সংক্রমণের মতো সমস্যা সহজে হতে পারে না। এখানেই শেষ নয় ত্বকের লাবণ্য ও জৌলুস ধরে রাখতেও শরীরে পর্যাপ্ত জলের পরিমান অত্যন্ত আবশ্যক। একইসঙ্গে শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনে সাহায্য করে। আর গ্রীষ্মকালে এই হাইড্রেশনে যাতে ঘাটতি না ঘটে তার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত। কারণ, গরমকালে শরীরে জলের ঘাটতির সম্ভাবনা বেড়ে যায় আরও বেশি। এই অবস্থায় শরীর চূড়ান্ত ক্লান্ত হয়ে পড়েন এবং মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে ওঠে।
তাই গরমকালে শরীর সুস্থ রাখতে খেয়াল রাখতে হবে যাতে শরীরে জলের ঘাটতি না ঘটে। সাধারণত শরীরে জলের ঘাটতি ঘটলেই জলের তেষ্টা তা জানান দেয়। তবে জলের তেষ্টা ছাড়াও শরীরে জলের অভাব হলে এই সঙ্কেতগুলোর মাধ্যমে জানান দেয় শরীর। সেগুলো সময়মতো বুঝে নেওয়া দরকার। এরকমই বেশ কিছু সঙ্কেতের কথা তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ পুজা মাখিজা। যেমন-
ঘাম না হওয়া
তীব্র গরমও ও আর্দ্রতা পূর্ণ আবহাওয়াতে থেকেও যদি ঘাম না হয় তা হলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে জলের ঘাটতি রয়েছে। কারণ, এই আবহাওয়ায় শরীর সুস্থ রাখতে সাধারণত ঘাম হয় যাতে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। তবে শরীরে যদি ইতিমধ্যেই জলের অভাব ঘটে তা হলে ঘাম হবে না।
হৃদস্পন্দন তীব্র হয়ে যাওয়া
শরীরে জলের ঘাটতি হলে শরীরে রক্ত সঞ্চালনের অভাব ঘটে। এর ফলে শরীর চাহিদা অনুসারে রক্তের সরবরাহ বজায় রাখতে হার্ট আরও জোরে কাজ করতে শুরু করে। এর ফলে হৃদস্পন্দ তীব্র হয়ে ওঠে। বুক ধরফড় করতে শুরু হলে বুঝতে হবে শরীরে জলের ঘাটতি ঘটেছে।
জলের ঘাটতি জানান দেয় ত্বকের অবস্থা
এই গরমে, আর্দ্রতা পূর্ণ আবহাওয়ায় সানস্ক্রিন ব্যবহার করা সত্ত্বেও যদি ত্বক শুষ্ক, চামড়া ওঠা কিংবা চুলকানি শুরু হলে বুঝতে হবে শরীরে ডিহাইড্রেশন হয়েছে।
তাই ডিহাইড্রেশনের হাত থেকে শরীর দূরে রাখতে পর্যাপ্ত পরিমানে জল পান করুন এবং যথাসম্ভব ক্যাফেন যুক্ত পানীয় ব্যবহার করুন। তবে তেষ্টা পেলে আর ঘন ঘন জল খেতে ইচ্ছে না হলে চা খেতে পারেন। তবে এতে যাতে চিনি না থাকে তা খেয়াল রাখবেন। যেমন গ্রিন টি কিংবা লেবু চা খেতে পারেন। চিনি ছাড়া চা খেতে না পারলে চিনির বদলে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
জল বা এমন কিছু পানীয় যাতে জল রয়েছে তা খেলে শরীরের প্রয়োজনীয় জলের ঘাটতি মিটবে।
(ছবি সৌ:Unsplash)