কোমরের ব্যাথাতে একবারও কাবু হননি এমন মানুষে মেলা ভার। অনেক সময় ভুল দেহভঙ্গির কারণে। কখনও আবার শারীরিক কোনও সমস্যার কারণে। যেমন বয়সজনিত মেরুদণ্ডে ক্ষয় বা বৃদ্ধি, অস্টিওআথ্র্যাটিস বা গেঁটে বাত, অস্টিওপোরেসিস, স্পনডাইলাইটিস, মেরুদণ্ডের স্নায়ুবিক সমস্যা, কোমরের মাংসে সমস্যা,বিভিন্ন স্ত্রীরোগজনিত সমস্যা, অপুষ্টিজনিত সমস্যা, মেদ বা ভুড়ি, অতিরিক্ত ওজন ইত্যাদির কারণে ব্যাথা হয়। আর শীতকাল এলেই পুরোনো ব্যাথা আবার জেগে ওঠে। এই অবস্থায় ব্যাথা নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার। দৈনন্দিন জীবনে কোমর ব্যাথা যাতে কোনও বড় আকার যাতে না নেয় তার জন্য এই সতর্কতা অবলম্বন করুন। যেমন-
১. দৈনন্দিন কাজে সতর্কতার ক্ষেত্রে নিচে থেকে কিছু তোলার সময় কোমর ভাঁজ করে কিংবা ঝুঁকে তুলবেন না। হাঁটু ভাঁজ করে তুলুন।
২. ঘাড়ের ওপর ভারী কিছু চাপাবেন না। পিঠের ওপর ভারি কিছু ওজন নিলে সামনের দিকে ঝুঁকে বহন করুন।
৩. শোয়ার সময় উপুড় হয়ে শোবেন না। ভাঙ্গা খাট, ফোম বা স্প্রিংয়ের খাটে শোবেন না। সমান তোশক ব্যবহার করুন। এবং বিছানা শক্ত, চওড়া ও সমান হতে হবে। শক্ত বিছানা বলতে সমান কিছুর ওপর পাতলা তোশক বিছানোকে বোঝায়।
৪. দাঁড়িয়ে থাকার সময় ১০ মিনিটের বেশি দাঁড়িয়ে থাকবেন না। দীর্ঘক্ষণ হাঁটতে বা দাঁড়াতে হলে উঁচু হিল পরবেন না। অনেকক্ষণ দাঁড়াতে হলে কিছুক্ষণ পর পর শরীরের ভর এক পা থেকে অন্য পায়ে নিন।
৫. আপনার চেয়ার টেবিল থেকে বেশি দূরে নেবেন না। সামনে ঝুঁকে কাজ করবেন না। কোমরের পেছনে সাপোর্ট দিন। নরম গদি বা স্প্রিংযুক্ত সোফা বা চেয়ারে বসবেন না।
৬.গাড়ি চলানোর সময় স্টিয়ারিং হুইল থেকে দূরে সরে বসবেন না। সোজা হয়ে বসুন।
৭. ব্যথা বেশি হলে বিছানা থেকে শোয়া ও ওঠার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। যেমন চিৎ হয়ে শুয়ে এক হাঁটু ভাঁজ করুন। এবার অন্য হাঁটুটি ভাঁজ করুন। হাত দুটি বিছানায় রাখুন। এবার আস্তে আস্তে এক পাশে কাত হোন। দুটো পা বিছানা থেকে ঝুলিয়ে দিন। যে দিকে কাত হয়ে আছেন সেই দিকে হাতের কনুই এবং অপর হাতের তালুর ওপর ভর দিয়ে ধীরে ধীরে উঠে বসুন। দুই হাতের ওপর ভর দিয়ে বসুন এবং মেঝেতে পা রাখুন। এবার দুই হাতের ওপর ভর দিয়ে সামনে ঝুঁকে দাঁড়ান।
(তথ্য সৌজন্য: NIN)