চারিত্রিক থেকে মানসিক দৃঢ়তা সবক্ষেত্রেই গুরুদায়িত্ব পালন করে চলেছে খেলাধুলা। আজ জাতীয় ক্রিড়া দিবসে সেই খেলাধুলার কয়েকটি উপকারিতা একনজরে।
১. টিম স্পিরিট: কীভাবে একটি লক্ষ্যে পৌঁছানোর তাগিদে দলের সদস্যরা রাতদিন, নিজেদের স্বার্থ ছাড়া, ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে মিলে একটি লক্ষ্যে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে কাজ করতে হয় তা খেলাধুলার মাধ্যেমেই শেখা যায়। এই শিক্ষা জীবনের নানা ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে কাজে আসে।
২. নেতৃত্ব আসে: খেলাধুলার মাধ্যমে পড়ুয়ারা নিজেদের অনুপ্রাণিত করার ও দলের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে চলতে শেখে। বিভিন্ন আর্থসামাজিক সহ অন্যান্য ভেদাভেদ ভুলে একই লক্ষ্যের উদ্দেশ্য এগনোর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নেতৃত্ব দেওয়া ক্ষমতা গড়ে তোলে।
৩. সততা বা ন্যায়বিচার শেখায়: জেতাটা দরকার তবে হেরে যাওয়াটা লজ্জাজনক নয়। কথায় বলে খেলায় জয় পরাজয় লেগেই থাকে। এই শিক্ষা জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এর ফলে ছোটদের মধ্যে সততার মনোভাব তৈরি করে সবরকমের পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নেওয়া এবং হেরে যাওয়া বা পিছিয়ে পড়াদের জন্য সহমর্মিতা আনে।
৪. লড়াকু মনোভাব তৈরি করে: খেলাতে হার জিতের লেগেই থাকে। আর এই বিষয়টি আমাদের সবরকম পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার রসদ জোগায়। জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সম্মুখিন হতে শেখায়। কোনওমেত হার না মেনে সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার মনোভাব তৈরি করে।
৫. ফিরে আসা যায়- জয় বা পরাজয় কোনওটাই চিরস্থায়ী নয়। তাই হেরে গেলেও ফের জেতার লড়াইয়ে সামিল হতে শেখায় খেলাধুলা।
৬. বর্তমানে থাকতে শেখায়- খেলাধুলা আমাদের আরও বাস্তববাদি করে তোলে। জয় বা পরাজয় যাই হোক না কেন। অতীতের বদলে বর্তমানে বাঁচতে শেখায়। ভবিষ্যত নিয়ে পরিকল্পনা করতে শেখায়। একাগ্রতা ও অধ্যাবসায়ের মত চারিত্রিক বৈশিষ্ঠ্যগুলো তৈরি করে।