বর্ষাকাল মানেই জমা জল আর জমা জল থেকে মশার উৎপাত। তা মশার কামড় থেকে রেহাই পেতে বাড়িতে যতই সাবধানে থাকুন না কেন বাড়ির বাইরে কখন কোথায় মশার কামড়ে দেবে বোঝার উপায় নেই । এদিকে মশার কামড় মানেই চুলকে সেই জায়গায় দাগ হয়ে যাওয়া। শরীরের অন্যত্র হলে তেমন অসুবিধে নেই কিন্তু দাগ যদি মুখে পড়ে তখন খুবই বাজে দেখায়। এই অবস্থা যদি আপনার বা আপনার পরিবারের কারো হয় তা হলে মশার কামড়ের দাগ সারিযে তুলতে ব্যবহার করতে পারেন এই সব ঘরোয়া টোটকা। যেমন-
মধু
ঘরোয়া পরিচর্যায় মধুর উপকারিতা সকলেরই জানা। ত্বক হাইড্রেট ও ময়শ্চারাইজ করতে মধুর জুড়ি মেলা ভাল। এছাড়া ত্বকে যে কোনও রকমের দাগছোপ থাকুক না কেন এতে মধু লাগালে তা অনেকটাই হালকা হয়ে যায়।
কীভাবে ব্যবহার করবেন?
এক্ষেত্রে মধু আপনি একাধিক ভাবে ব্যবহার করতে পারেন। মধু সরাসরি ক্ষতস্থানে লাগিয়ে নিতে পারেন। আবার চাইলে হলুদের সঙ্গে মিশিয়ে মুখের যে সব জায়গায় দাগছোপ রয়েছে সেখানে লাগাতে পারেন। অ্যান্টিসেপ্টিক হিসেবে হলুদের গুনের কথা আর নতুন করে বলার কিছুই নেই। তাড়াতাড়ি উপকার পাবেন।
কাঁচা দুধ
দুধ প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজারের পাশাপাশি এক্সফোলিয়েটর হিসেবেও দারুন কাজের। মুখে মশার কামড়ের দাগ থাকলে সেই জায়গায় কাঁচা দুধ ব্যবহার করতে পারেন। অনেক সময় ত্বকের মৃত কোষ থেকে যাওয়ার ফলে দাগছোপ পড়ে যাওয়া। এই সব ক্ষেত্রে দুধ দিয়ে উপাচার করা যেতে পারে।
কীভাবে ব্যবহার করবেন?
দুধে সামান্য একটু হলুদ মিশিয়ে তা মুখে লাগিয়ে নিন। দাগছোপ কম হয়ে যাবে। দুধের সঙ্গে কেসর মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। দাগছোপ কমে যাবে।
গোলাপ জল
গোলাপ টোনার হিসেবে খুবই উপকারী। পাশাপাশি ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখে। এর ফলে ত্বকে কোনও রকমের দাগছোপ থাকলে তা গোলাপ জলের নিয়মিত ব্যবহারে অনেকটাই কমে যায়। এছাড়া গোলাপ জলের অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেট্যারি কার্যকারিতা রয়েছে। অনেক সময় মশার কামড়ে মুখে গোটা বা দানা বেড়িয়ে যায়। এই সময় গোলাপ জলের ব্যবহার ত্বকের শুশ্রুষা করে এবং দাগছোপ পরিষ্কার করতে সাহায়্য করে।