স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে অন্যতম উপকারী খাবার কিশমিশ। জলে ভিজিয়ে খাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন রান্নায় কিশমিশ ব্যবহার করা হয়। এছাড়া স্বাস্থ্য সচেতনদের অনেকেই কিশমিশ ভেজানো জল পান করেন।
কিশমিশের গুণাগুণ অনেকেরই অজানা। কিশমিশ খাওয়া স্বাস্থের জন্য খুব উপকার। কিশমিশে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় খুব উপকারী। এতে ভালো মাত্রায় পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকায় অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি শরীরের টক্সিন অপসারণের পাশাপাশি আর্থ্রাইটিস, কিডনিতে পাথর এবং হৃদরোগের মতো জটিল রোগও দুর করে। যারা রক্তস্বল্পতায় ভোগেন তাঁদের জন্য খুব উপকারী। কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স থাকায় শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। নিয়মিত কিশমিশ খেলে তা পেট ভালো রাখে।
আরও পড়ুন: দারুচিনির জলের গুণাগুণ জানলে অবাক হবেন
ভেজানো কিশমিশ খেলে পেটে রেচক প্রভাব দেয় ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এমনকি ক্যান্সার প্রতিরোধেও উপকারী কিশমিশ। ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট নামের একটি উপাদান থাকে যা সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে। জ্বরের ঝুঁকিও কমায় এবং ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে। ত্বকের জন্যও খুব উপকারী কিশমিশ। ত্বকের কোষকে যে কোনো ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। বার্ধক্যের লক্ষণ অনেকটা কম করতে সহায়তা করে। ওজন বৃদ্ধিতে উপকারী কিশমিশ। এই ড্রাই ফ্রুটে ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ থাকার কারণে এটি শরীরে প্রচুর শক্তি দিতে পারে। সেই সঙ্গে এটি শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল জমতে বাধা দিয়ে ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
আরও অন্য খবর দেখুন