দুর্গাপুজো থেকে লক্ষ্মীপুজো, বিজয়ার মিষ্টি কিংবা লক্ষ্মীপুজের নাড়ু সব কিছুই এবার বাড়ির বাইরে থেকে কিনেই কাজ চালিয়েছেন। কালীপুজোতেও সেরকম প্ল্যান ছিল তবে বাড়িতে আচমকা অতিথিদের আসার পরিকল্পনা, ভাবছেন বাড়ির তৈরি মিষ্টি দিয়ে আদর আপ্যায়নে চমক দিলে কেমন হয়। ভাবনাটা মন্দ নয়। ঘন্টাখানেকের কম সময় ও সহজলভ্য উপকরণ দিয়ে বাড়িতে সহজেই বানিয়ে নিতে পারেন এই মিষ্টিগুলো। রইল রেসিপি-
নাম শুনলেই জিভে জল আসে। যে কোনও উত্সব-অনুষ্ঠানে বাড়িতে তৈরি করার পক্ষে এই মিষ্টি দারুন। আধঘন্টার মধ্যেই বানিয়ে ফেলুন এই মিষ্টি।
কী ভাবে বানাবেন
প্রথমে একটি বাটিতে ১ কাপ খোয়া ভাল করে চটকে নিন। এবার এতে ৩/৪ কাপ বা ১০০ গ্রাম ঝিরিঝিরি করে কাটা পনির, সুজি ও ২ টেবিল চামচ ময়দা, ১/৪ চা চামচ বেকিং পাউডার ও আধ চামচ এলাচ গুঁড়ো ভাল করে খোওয়ার সঙ্গে মিশিয়ে নিন।
এবার এই বাটিতে ১ বড় চামচ বা টেবিল চামচ দুধ মিশিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। তবে আটা মাখআর মত করে মাখবেন না। এবার এই মিশ্রণটা ২০ থেকে ২৫ মিনিট ঢেকে রাখুন। চাইলে বাজার থেকে গুলাব জামুন মিক্স কিনে নিতে পারেন।
এই সময় চিনির রস বানিয়ে নিন। মনে রাখবেন চিনি ও জল সমান পরিমাণ নেবেন। রস বেশি ঘণ চাইলে চিনির পরিমান বাড়াতে পারেন। চাইলে এক দুফোটা লেবুর রস এবং এলাচ বা লবঙ্গ মেশাতে পারেন। এতে রসে সুন্দর একটা ফ্লেভার তৈরি হবে।
এবার ২০ মিনিট পর মিশ্রনটি থেকে ছোট ছোট আকারের বল বানিয়ে নিন। ছোট না বড় আপনার গোলাপ জাম, পছন্দ মত বল বানিয়ে, ঘি বা তেলে ভেজে নিন। ভেজিটেবিল অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। ভাজার সময় মনে রাখুন বলগুলো হালকা বাদামী হয়ে গেলেই তেল থেকে তুলে, বাড়তি তেল ঝরিয়ে রসে ছেড়ে দিন। সব কটা ভাজা হয়ে গেলে। রসের সমতে গোলাপ জাম ফুটিয়ে নিতে পারেন। এতে রস তাড়াতাড়ি গোলাপ জামের ভিতরে ঢুকবে।
বালুসাই দেখতে অনেকটা এক বলে বালুসাইকে ইন্ডিয়ান ডোনাটস বলা হয়। রকমারি সন্দেশ ও রসগোল্লার সম্ভারে অনেকটাই ফিকেই বালুসাইয়ের স্বাদ। তবে মিষ্টির দোকানের ঠান্ডা বালুসাই তেমন মন
কাড়তে না পারলেও বাড়িতে তৈরি গরম গরম মুচে মুচে আর মুখে আবার মুখে দিলেই মিশে যায় এ রকম বালুসাই খেতে দারুন লাগে।
কী ভাবে বানাবেন জেনে নিন
প্রথমে একটা বাটিতে ১/৪ কাপ ঘি, ১/৪ কাপ ঠান্ডা করে রাখা টাটকা দই ভাল করে ফেটিয়ে নিন। দই ও ঘি ভাল ভাবে মিশে গিয়ে নরম করে নিন।
এবার অন্য একটি পাত্রে ২ কাপ ময়দা, এক চিমটে নুন, এক চিমটে বেকিং সোডা ও আধ চা চামচ বেকিং পাউডার মিশিয়ে নিন।
এবার এই ময়দার সঙ্গে ফেটিয়া রাখা মিশ্রণটি মিশিয়ে ভাল করে মেখে নিন। ময়দা মাখা অন্তত ১৫ মিনিট ঢাকা দিয়ে রেখে দিন।
পনেরো মিনিট পর মাঝারি মাপের বলের আকারে লেচি কেটে নিন। এবার বালুসাইয়ের আকারে বেলে নিন। এবং আঙুল দিয়ে মাঝে খানে হালকা টিপে দিন। এবার তেলে ভেজে নিয়ে গরম রসে চুবিয়ে দিন। বালুলাই রেডি।
কাজুর বরফি তো অনেক হল স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এবং স্বাদে বদল আনতে বানিয়ে ফেলুন নারকেল বরফি।
নারকেল কুড়িয়ে নিতে পারেন তবে তা সময় সাপেক্ষ তাই বাজার থেকে কিনে নিন কোকোনাট ফ্লেক্স। যে কোনও সুপার মার্কেট কিংবা পাড়ার মুদির দোকানে সহজেই পেয়ে যাবেন।
প্রথমে কোকোনাট ফ্লেক্স ১৩০ডিগ্রিতে গরম করে রাখা মাইক্রোওয়েভ ওভেনে হালকা সেঁকে নিন। রঙ বাদামী হয়ে গেলে ওভেন থেকে বার করে নিন।
এবার একটা চৌকোনো বাটিতে বাটার পেপার দিন এবং তেল মাখিয়ে নিন।
পাশাপাশি একটি সসপ্যানে কোড়ানো নারকেল ও কনডেন্সড মিল্ক গরম করুন। এই মিশ্রণ গাঢ় ও ঘন হয়ে গেলে এবং একটা চকচকে ভাব এলে প্যান আগুন থেকে নামিয়ে নিন।
কিছুক্ষণ পর আবার এই মিশ্রণ গ্যাসে গরম হতে দিন। মাঝারি আঁচে ৭ থেকে ৮ মিনিট গ্যাসে রাখুন। এই সময় স্প্যাচুলা প্যানের মধ্যে চালালে লক্ষ করবেন মিশ্রণটি প্যান ছেড়ে উঠে আসছে।
এবার এই মিশ্রণ একটি কাঁচের প্লেটে ঢেলে স্প্যাচুলা দিয়ে ছড়িয়ে দিন। এবং রোস্ট করে রাখা কোকোনাট ফ্লেক্স ওপর থেকে ছড়িয়ে দিন। চৌকো আকারে কেটে নিন। এবং প্লেট সমটে ঘন্টাখানেক ফ্রিজে রেখে দিন। নারকেলের বরফি তৈরি।