কোথায় ভেবেছিলেন শীতটা পড়লে খোলা চুলে একেবারে মেঘ বালিকা হয়ে বাড়ির বাইরে বেরোবেন। কিন্তু এখন যেন সেগুড়ে বালি! এই অবস্থা যদি আপনার হয় তা হলে এখনও খুব একটা দেরি হয়নি। চুলের সঠিক যত্ন নিলেই হারানো জেল্লা নিমেষেই ফিরে আসবে। তবে নতুন কোনও বাজার চলতি নামী দামি সামগ্রীর ওপর নির্ভর না করে বরং কাজে লাগান নিত্য ব্যবহারের ঘরোয়া উপকরন। পকেটও পুড়বে না আবার ক্ষতিকারক রাসায়নিকের থেকে চুল ভাল থাকবে। কী কী জেনে নিন-
নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল
ফ্রিজি বা হেয়ার স্টাইলিং সরঞ্জামের ব্যবহারে কুকড়ে যাওয়া চুলকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাতে দারুণ কার্যকরী নারকেল তেল। এটি চুলে প্রয়োজনীয় পুষ্টির পাশাপাশি পর্যাপ্ত আর্দ্রতার জোগান দেয়। পাশাপাশি চুলের নিজস্ব যে তেল রয়েছে তা ধরে রাখে এবং কন্ডিশনার হিসেবে দারুন কাজ করে। একই ভাবে অলিভ অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন। তবে নারকেল তেল হালকা হওয়ায় আপনি চাইলে প্রত্যেক দিন ব্যবহার করতে পারবেন। মাথায় একদিন রেখে দিতে পারবেন।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার
এতে প্রচুর পরিমানে প্রাকৃতিক খনিজ পদার্থ ও অ্যাসিড রয়েছে। এগুলি চুলের স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। পাশাপাশি অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের পিএইচ লেভেল বেশি থাকায় এটি চুলের সিল্কি ও শাইনি ভাব বাড়িয়ে তোলে। শ্যাম্পুর পর আধ কাপ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ও ১ কাপ জল মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পুর পরে এই মিশ্রণ চুলে ভাল করে লাগিয়ে নিন। চুলের গোড়া থেকে মাথার ডগা পর্যন্ত ভাল করে মালিশ করে নিন। কিছুক্ষণ মাথায় রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে নিন।
বাড়িতে বানিয়ে নিন ডিমের এই হেয়ার মাস্ক
ডিমে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন ও বায়োটিন রয়েছে যা চুলের জন্য খুবই ভাল। তাই এগ মাস্ক বা ডিমের তৈরি মাস্ক চুলের জন্য ভীষণ উপকারী। হেয়ার মাস্ক এই ভাবে বাড়িতে বানিয়ে নিন, একটি পাত্রে একটা ডিম নিয়ে নিন, এতে টক দই ও লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এবার এটা ভাল করে মিশিয়ে নিন। মসৃণ একটি মিশ্রণ তৈরি হলে মাথায় লাগিয়ে নিন। ঘন্টাখানেক মাথায় রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন।
এই ঘরোয়া উপকরণগুলি সহজলভ্য তাই চাইলে এই তিনটি কিংবা কোনও একটি উপায় চুলের হারানো জৌলুস ফিরিয়ে আনুন।