শীতকাল মানেই যে সব ভাল তা কিন্তু নয়। শুধু হিমেল হাওয়াই নয় শীতকালে মাথাচাড়া দেয় বেশ কিছু ভাইরাস ও সংমক্রমণ। এর ফলে একাধিক শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে ঠান্ডা লাগা, গিটের ব্যাথায় সহজেই কাবু হয়ে পড়েন অধিকাংশ। তবে ভাল ব্যাপার যেটা সেটা হল একটু সচেতন থাকলেই এই সব শারীরিক সমস্যার থেকে সহজেই মুক্তি পাবেন। পাশাপাশি নিয়ম মেনে করতে হবে বেশ কয়েকটি কাজ। বিশেষ করে এখন যেমন নিজের নবতম রূপ ওমিক্রন হিসেবে মাথা চাড়া দিয়েছে করোনাভাইরাস। তাই এই সময় যাতে কোনও বাড়াবাড়ি না হয়ে যায় সেদিকে নজর দিতে হবে। শীতকালের এই সমস্যাগুলো থেকে কীভাবে নিজেকে সুস্থ রাখবেন দেখে নিন। যেমন-
কমন কোল্ড
শীতকালে দিন ছোট ও রাত বড় হওয়ার কারনে পর্যাপ্ত সুর্যের আলো পাই না আমরা। এর ফলে ভিটামিন ডি-র অভাব তৈরি হয় শরীরে। এই ভিটামিন ডি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে অত্যন্ত আবশ্যক। তাই এর অভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। ফলে সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অন্যদিকে শীতকালে আবার দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এই কমল কোল্ডের ভাইরাস।
সুস্থ থাকতে কী করবেন?
সমস্যার সমাধানে সুষম আহার, পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। এর ফলে শরীরের নিজের উষ্ণতা বজায় রাখলে সহজে সর্দি কাশির জীবাণু আপনার শরীরের বাসা বাঁধতে পারবে না।
স্ট্রেপ থ্রোট
এই স্ট্রেপ থ্রোট এক ধরনের ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমন যেটা গ্রুপ এ স্ট্রেপটোকোকাস থেকে ছড়ায়। এই ব্যাক্টেরিয়া নাকে ও গলায় বাসা বাঁধে। শীতকালে বাচ্চাদের, বিশেষ করে ৫ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের মধ্যে এই ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণ খুব বেশি দেখা যায়। তবে সময় মত সাবধান সচেতন থাকলে ভাইরাসের সংমক্রমণ থেকে শিশুরা সহজেই সুরক্ষিত থাকবে।
সুস্থ থাকতে কী করবেন?
প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এই সময় বেশি করে হালকা গরম পানীয় বা তরল খাবার দাবার খেতে পারেন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজার রাখতে হবে। বেশি করে জল থেতে হবে যাতে শরীর হাইড্রেটেড থাকে। গলায় অল্প একটা ব্যাথা হলেই গার্গেল করতে হবে এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে।