ত্বকের পরিচর্যায় অত্যন্ত অবহেলিত ব্ল্যাকহেডস বা হোয়াইটহেডস। সচরাচর চোখে পড়ে না ঠিকই কিন্তু
সঠিক সময় পরিষ্কার না করলে এদের বাড়বাড়ন্তে ম্লান হয়ে যেতে পারে আপনার ত্বকের সৌন্দর্য্য। এই ব্ল্যাকহেডস বা হোয়াইটহেডসও এক ধরনের ব্রণ এবং নাক বা নাকের কাছের অংশের রোমকূপে ঘাম ময়লা জমে ব্যক্টেরিয়ার সংক্রমণের ফলে এগুলোর সৃষ্টি হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে মুখের অন্যান্য জায়গার তুলনায় ত্বকের এই অংশের রোমকূপ আকারে বড় এবং এগুলো সেবাম তৈরি করে যে গ্রন্থি তার সঙ্গে যুক্ত। তাই সহজেই এই জায়গায় ব্ল্যাকহেডস বা হোয়াইটহেডস গজিয়ে ওঠে। আর বাড়াবাড়ি হলে দেখতেও খারপ লাগে। আর এগুলো পরিষ্কার করতে সব সময় বিউটি পার্লার বা সালোঁতে ছোটাও সম্ভব হয় না। তা হলে বাড়িতে কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করবেন জেনে নিন-
ফেস স্ক্রাবার ব্যবহার করুন
যে কোনও মাইল্ড এক্সফোলিয়েটিং ফেস স্ক্রাব দিয়ে নাক পরিষ্কার করে নিন। ওপরের দিকে হাল্কা হাতে এই স্ক্রাব আপনার নাকে মালিশ করুন। এক্ষেত্রে কফি ও ওয়ালনাট যুক্ত স্ক্রাবার ব্যবহার করতে পারেন। এতে ব্ল্যাক ও হোয়াইটহেডসের পাশাপাশি মুখের মৃত কোষগুলিও পরিষ্কার হয়ে যাবে। এবং এতে আপনার ত্বকের মসৃণ ও সতেজ দেখাবে।
এরপর মুখে ভাপ দিয়ে নিন
হাল্কা হাতে স্ক্রাবের শেষে মুখ ধুয়ে নিতে পারেন কিংবা ওয়েট টিসু দিয়ে মুখ মুছে নিতে পারেন। এবার ফেসিয়াল স্টিমারের মাধ্যমে মুখে স্টিম দিয়ে নিন। এই গরম ভাপের ফলে রোমকূপের ছিদ্রের মুখ খুলে যাবে এবং ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইট হেডস পরিষ্কার করতে খুব সাহায্য করবে। সর্দি কাশির সময় যে ধরনের স্টিমার ব্যবহার হয় সেগুলো কাজে লাগাতে পারেন। তবে ন্যানো টেকনলজিতে তৈরি বিশেষ ধরনের স্টিমার ব্যবহার করলে নিঃসন্দেহে ফল আরও ভাল হবে।
বিশেষ সরঞ্জামের সাহায্যে ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইট হেডস পরিষ্কার করে নিন
ফেসিয়াল স্টিমার অন থাকার সময়ই ব্ল্যাকহেডস রিমুভিং টুলের প্রয়োগ করে ব্রণগুলো সরিয়ে ফেলুন। এভাবে পুরো জায়গাটা পরিষ্কার হয়ে গেলে ওয়েট ওয়াই বা ওয়েট টিসু দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন।
ক্লে মাস্ক ব্যবহার করুন
ব্ল্যাকহেডস একবার পরিষ্কার হয়ে গেলে এবার আপনার পছন্দের যে কোনও পিউরিফাইং ক্লে মাস্ক মুখে লাগিয়ে নিন। আপনার ইচ্ছেমতো চাইলে শুধুমাত্র নাকে কিংবা গোটা মুখে এই মাস্ক লাগাতে পারেন। এই মাস্ক ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নেবে। এবং নিত্যদিনেক ধুলো ময়লা, মাস্কনের সমস্যার থেকে মুক্তি দেবে। ত্বকের ওপরের স্তরকে সারিয়ে তোলে এবং ত্বকের নিজস্ব যে প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে সেটাও বাড়িয়ে তোলে।
সব শেষে ময়শ্চারাইজার লাগাতে ভুলবেন না
মাস্ক ১০ মিনিট রেখে ইষদুষ্ণ জলে ধুয়ে ফেলুন। এবার মুখে অয়েল ফ্রি ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। আপনার ময়শ্চারাইজারে যদি ভিটামিন ই ও হায়ালিউরোনিক অ্যাসিডের মতো উপাদান থাকে তাহলে খুবই ভাল হয়। এই উপাদানগুলি ত্বককে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা জোগাবে আবার ত্বক তৈলাক্ত করবে না।