আজকাল ছোট ছোট বিষয়ে মেজাজ (short temper) হারাচ্ছেন? ঘন ঘন এই মেজাজ হারানোর কারণ যাই থাকুক না কেন এর কিন্তু সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়তে পারে স্বাস্থ্যের (health) ওপর। রাগ বেশি হলে স্বাভাবিক ভাবেই স্ট্রেস (stress) বেড়ে যায় কয়েকগুণ। আর স্ট্রেস মানেই হাইপারটেনশন (hypertension) থেকে শুরু করে হার্টের (heart related ailments) একাধিক সমস্যা। তাই ঘন ঘন রেগে যাওয়া কিন্তু মোটেও কাজের কথা নয়। ইউনিভার্সিটি অফ উইসকনসিনের (University of Wisconsin) একটি গবেষণায় উঠে এসেছে রাগ নিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এর পাশাপাশি রাগের সময় মস্তিষ্কের প্যটার্ন স্টাডি করে কীভাবে রাগ বশে রাখতে হবে কিংবা নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে তা নিয়েও একটি বিষয় জানা গিয়েছে। রাগ হলে তথনই এমনভাবে নিজেকে ব্যস্ত করে তুলতে হবে যে রাগের কারণ যেন মাথা থেকে একেবারে বেড়িয়ে যায়। এমনটা হলে মনে প্রশান্তি আসবে।
তাহলে জেনে নিন এবার থেকে কীভাবে রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখবেন-
তিন বার জোরে জোরে নিশ্বাস নিন
প্রচন্ড রাগ হলে নিমেষে তা কম করতে এটা সবথেকে সহজ উপায়। যদিও রাগ নিয়ন্ত্রণ করার আরও অনেক উপায় রয়েছে তবে এটা সব থেকে সহজ আর ভাল কাজও করে।
মেজাজ হারাবেন না
চোখের সামেন এমন কিছু দেখছেন যা আপনার সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। তবে তাও আপনি মেজাজ হারাবেন না। প্রথমে নিজেকে শান্ত করুন। এরজন্য মনে মনে যেটা ঘটছে সেটা বার বার চিন্তা করুন আর ভাবুন রাগ না দেখিয়ে আপনার অপছন্দের বিষয়টা কীভাবে ব্যক্ত করবেন। কী কী প্রতিক্রিয়া দিতে পারেন। দেখবেন এই সব সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে রাগটাই কখন মাথা থেকে একেবারে ‘ফ্লাশ আউট’ হয়ে গিয়েছে।
হাঁটুন
খুব রাগ হচ্ছে? কোনওভাবেই নিজের আবেগের ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকবে না মনে হচ্ছে? এ রকম অবস্থায় পাঁচ মিনিট হেঁটে নিন। বা এমন কোনও কাজ করুন যেটা আপনার চিন্তাভাবনাকে অন্যদিকে চালনা করবে। তবে অনেক সময় এটা করা সম্ভব হয় না। তাই এই ক্ষেত্রে হাঁটা ভাল ‘অপশন’। এটা শরীরের পক্ষেও বেশ উপকারী। রাগ কম করে মন ভাল করে তুলতেও বেশ কার্যকরী।
জোরে জোরে গান করুন
হ্যাঁ ঠিকই পড়ছেন। প্রচন্ড রেগে গেছেন ঠিক সেই অবস্থায় জোরে জোরে গান করুন। প্রথম, প্রথম বিষয়টা অদ্ভুত লাগলেও একবার অভ্যেস হয়ে গেলে দেখবেন বেশ মজা পাবেন। তার মধ্যে যদি আপনার গানের গলা ভাল হয় তা হলেও তো আর কোনও কথাই নেই। নিজের গান শুনে নিজেই মু্গ্ধ হয়ে যান। এমনকি যাঁদের ওপর রাগ হচ্ছে তাঁদেরও খুশি করে ফেলুন গান শুনিয়ে।
সমস্যা কোথায় ভেবে দেখুন
অ্যাঙ্গার ম্যানেজমেন্টের এটা একটা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন দেখা গিয়েছে রাগের কারণ নিয়ে ভাবনাচিন্তা না করেই আমরা অহেতুক রাগারাগি করি এবং রেগে গিয়ে বেশ কিছু বিষয় নিজেদের গোঁ ধরে বসে থাকি যা আমাদের জন্য ক্ষতিকারক। তাই কোন বিষয়টি আপানকে সব থেকে বেশি রাগিয়ে তোলে সেটা বোঝার চেষ্টা করুন। না বুঝতে পারলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।